ভিডিয়ো: ট্রাভিস হেডের উইকেট নিয়েই অচেনা বুমরা-চেনা কোহলি!


তৃতীয় দিনের শেষে মনে হয়েছিল, আজ হয়তো লাঞ্চের মধ্যেই ম্যাচ পকেটে পুরে ফেলবে ভারত। শুরুটাও তেমনই হয়। মহম্মদ সিরাজের অনবদ্য বোলিংয়ে স্টিভ স্মিথ, উসমান খোয়াজারও উইকেট। ট্রাভিস হেডের বিরুদ্ধে একটি ক্লোজ কল। সিরাজ সেলিব্রেশন করলেও আম্পায়ার আউট দেননি। রিভিউ নিলেও লাভ হয়নি। সে সময় হেড মাত্র ২ রানে ছিলেন। হেডের উইকেট পড়লে অস্ট্রেলিয়া মানিসক ভাবে আরও বড় ধাক্কা খেত বলাই যায়। হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যান হেড। সঙ্গে মিচেল মার্শ। ট্রাভিস হেড ক্রমশ ভারতের মাথা ব্যাথা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাঁকে উপড়ে ফেলতেই বাঁধন হারা উচ্ছ্বাসে ভাসলেন জসপ্রীত বুমরা ও বিরাট কোহলি।

ভিন্টেজ কোহলি, শুধুই কি ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে? অজি ক্রিকেটাররা এখনও স্বীকার করে নেন, ক্যাপ্টেন কোহলিকে তাঁরা বেশি চেনেন। শুধু অস্ট্রেলিয়াই কেন। ইংল্যান্ডও তাই বলবে। কোনও বোলার উইকেট নিয়ে এতটা সেলিব্রেট করেন না, যতটা বিরাটের সেলিব্রেশন দেখা যায়। লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে দাঁত মুখের অঙ্গভঙ্গী। বিরাট কোহলির সেলিব্রেশন ক্যামেরাপার্সনদের কাছে অন্যতম সেরা ফ্রেম। আবারও সেই ফ্রেম ধরা পড়ল।

এই খবরটিও পড়ুন

ট্রাভিস হেড ও মিচেল মার্শ জুটি ভাঙতে ঘাম ঝড়াতে হয়েছে। অবশেষে জসপ্রীত বুমরাই দিয়েছেন ব্রেক থ্রু। রাউন্ড দ্য উইকেট বোলিং করছিলেন। অসমান বাউন্সের কারণে ব্যাটারদের মনে একটা দ্বিধা থাকেই। ট্রাভিস হেড যে ডেলিভারি ড্রাইভ খেলতে চেয়েছিলেন প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বাউন্স। ১৪০ কিমি গতির সেই বিধ্বংসী ডেলিভারিতে কট বিহাইন্ড ট্রাভিস হেড। ক্যাচ নেওয়ার সময় ঋষভও হয়তো টের পেয়েছেন কতটা টাফ ছিল। ১০১ বলে ৮৯ রানে ট্রাভিস হেডের উইকেট। জসপ্রীত বুমরাকে সাধারণত এত বেশি সেলিব্রেশন করতে দেখা যায় না। ঠিক যেন অচেনা বুমরা। আর বিরাটের ক্ষেত্রে, সেই ভিন্টেজ কোহলি!



Leave a Reply