বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার? কিংবদন্তি অবশ্যই। সেই সাকিব আল হাসান এখন কোথায়! তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারের ভবিষ্যতই বা কী! এমন নানা প্রশ্নই উঠছে। গত ৫ অগস্টের পর দেশে ফেরার সুযোগ পাননি সাকিব আল হাসান। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরই সাকিবের উপর ক্ষোভ আরও বাড়তে থাকে। বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট। সাকিবের মতো একজন ক্রিকেটারও যখন নিজের দেশে নিরাপদ নন, পরিস্থিতি যে জটিল বুঝতে অসুবিধা হয় না। বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হলেও পরিস্থিতি বদলায়নি। সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। বাংলাদেশে এখন কারা সুরক্ষিত! এটাই যেন বড় প্রশ্ন। তেমনই সাকিবের ক্রিকেট কেরিয়ারও।
বাংলাদেশে সরকার পতনের পর থেকেই আওয়ামী লিগের প্রাক্তন সাংসদ সাকিবের কেরিয়ার ঝুলে ছিল। তবে সে দেশের ক্রিকেট বোর্ড নিজেদের ভাবমূর্তি ঠিক রাখতে পাকিস্তানে টেস্ট সিরিজে রেখেছিলেন সাকিবকে। এরপর চলে যান ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেটে একটি ম্যাচ খেলতে। সরাসরি ভারতে আসেন ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে। হতাশার পারফরম্যান্স। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের আগে সাকিব আল হাসান জানিয়ে দেন, মীরপুরে কেরিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে চান। সেই সুযোগ অবশ্য আসেনি। সরকার কিংবা বোর্ড নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে চাননি। ভারতের মাটিতেই টেস্ট কেরিয়ারে ফুল স্টপ পড়ে গিয়েছে। এরপর!
দেশের হয়ে খেলার সুযোগ নেই। এমনকি বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলতেও যাওয়ার বিকল্প নেই সাকিবের। এর কারণ, দেশেই তো ফিরতে পারছেন না। অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশে অনেক আগে থেকেই ব্রাত্য। এ বার আইপিএলে নিলামে রেজিস্টার করেছিলেন। দল পাওয়া দূর অস্ত, তাঁর নামই ডাকা হয়নি। অনেকে হয়তো জানতেনই না সাকিব আইপিএলের অকশনে নাম লিখিয়েছেন! বিশ্বের সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএল এবং দ্বিতীয় সেরা বিগ ব্যাশের দরজা বন্ধ। বিপিএলের জন্য দেশে ফিরতে হবে। সেই রাস্তাও বন্ধ।
এই খবরটিও পড়ুন
আরব আমির শাহির ILT20-তেও জায়গা পাননি। দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টিতে নাম দেননি। নিউজিল্যান্ডের সুপার স্ম্যাশের স্কোয়াড এখনও ঘোষণা হয়নি। রইল বাকি পাকিস্তান সুপার লিগ ও ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মতো দ্বিতীয় সারির ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। সেখানেও সুযোগ পাবেন তো! আর মেজর লিগ টি-টোয়েন্টি কিংবা কানাডা গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে গত বার খেললেও পরবর্তীতে সুযোগ পাবেন! নিশ্চয়তা নেই। সাকিব খেলছেন টি-টেন লিগে। সেটার মান নিয়ে প্রশ্ন থাকেই। সাকিবের ক্রিকেট কেরিয়ারের মানও যেন সেখানেই পড়েছে।