চেন্নাইয়ের পার্ক দ্য বাস! ‘অস্কারের’ সামনে শীর্ষে ফিরল মোহনবাগান


এ যেন সেই মরিনহোর পার্ক দ্য বাস! চেন্নাই রক্ষণ ভাঙতে হিমসিম খেল মোহনবাগান। গত ম্যাচে ঘরের মাঠে জামশেদপুর এফসিকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল সবুজ মেরুন। আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে ছিল তারা। ঘরের মাঠে চেন্নায়িনের বিরুদ্ধে এমন ফলেরই প্রত্যাশা ছিল। চেন্নায়িনকে এ মরসুমে হারিয়েছে কলকাতার আর এক দল মহমেডান স্পোর্টিং। প্রথম বার আইএসএল খেলতে নামা মহমেডান জয়ের খাতা খুলেছিল চেন্নাইয়ের মাঠে। গত ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে ০-৩ হেরেছে চেন্নায়িন। তাদের বিরুদ্ধে শুরু থেকে প্রবল অস্বস্তিতে ভুগল মোহনবাগান আক্রমণ ভাগ।

ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকে একঝাঁক সুযোগ তৈরি করেছে মোহনবাগান। কখনও বল পোস্টে লেগেছে, কখনও অল্পের জন্য পা ছোঁয়ানো হয়নি। চেন্নায়িন এফসির গোলরক্ষক মহম্মদ নওয়াজ দুর্দান্ত সেভও করেন। কিছুতেই গোলের মুখ খুলতে পারছিল না মোহনবাগান। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ঝড় তুলল মোহনবাগানের আক্রমণ ভাগ। মনবীর, লিস্টন, কামিন্স, স্টুয়ার্টরা।

অবশেষে ম্যাচের ৮৬ মিনিটে প্রতিপক্ষর রক্ষণ ভাঙল মোহনবাগান। মনবীরের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। বিপদ তখনও কাটেনি। মুহূর্তের মধ্যে বল পান আশিস রাই। পাস করেন গ্রেগ স্টুয়ার্টকে। তাঁর দুর্দান্ত পাস জেসন কামিন্সকে। এ বার আর প্রতিরোধ গড়তে পারেননি চেন্নায়িন গোলরক্ষক কিংবা ডিফেন্স। কামিন্সের জোরালো শট জালে। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই মনবীরের একটি হেড ক্রসবারে লাগে। নয়তো লিড ২-০ হতে পারত। অ্যাডেড টাইম দেওয়া হয় ৬ মিনিট। সেখানেও ঝড় মোহনবাগানের। যদিও স্কোর লাইনে তার কোনও প্রভাব পড়েনি।

মোহনবাগান বনাম চেন্নায়িন এফসি ম্যাচ দেখতে উপস্থিত ছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো। তিনি ছিলেন চেন্নায়িনকে মাপতে। এরপর চেন্নায়িনের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। তাই ঘরের মাঠে তাদের দেখে নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেননি অস্কার।

Leave a Reply