বোলিংয়ে অনবদ্য, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রিলে ক্যাচে নজর কাড়লেন বাংলার পেসার


অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপে অভিযান শুরু করল ভারত। শুরুতেই হাইভোল্টেজ ম্যাচ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রান তাড়ায় নেমেছে ভারত। টার্গেটটা ৩০০-র উপর হতে পারত। পাকিস্তানের দুই ওপেনার যে ভাবে ব্যাটিং করছিলেন তাতে ৩০০ প্লাস স্কোর সহজ মনে হচ্ছিল। তবে বল পুরনো হতেই ম্যাচে ফেরে ভারত। এতে জোড়া অবদান রয়েছে বাংলার পেসার যুধাজিৎ গুহর। বাংলার হয়ে বয়সভিত্তিক স্তরে নজর কাড়ছেন। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া যুব দলের বিরুদ্ধে দেশের হয়ে খেলেছেন। এ বার অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপেও। কেমন হল তাঁর বোলিং?

বড় মঞ্চে ম্যাচ। নতুন বলে জান লড়িয়ে দেওয়াতেই নজর ছিল যুধাজিতের। পাকিস্তানের দুই ওপেনার শাজিব খান ও উসমান খান দু-জনেই বাঁ হাতি। তাঁদের বিরুদ্ধে বেশির ভাগ সময় ওভার দ্য উইকেট বল করলেন। নতুন বলে সুইং করানোয় বেশি নজর দিয়েছিলেন। যদিও নিয়ন্ত্রণ দেখা যায়নি। সার্বিক বাবে বলা যায়, প্রথম স্পেলে দক্ষতা অনুযায়ী বোলিং করতে পারেননি যুধাজিৎ। তবে দ্বিতীয় স্পেল থেকে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। শেষ অবধি তাঁর বোলিং পরিসংখ্যান ১০-১-৪৬-১। একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন পাকিস্তান ক্যাপ্টেন সাদ বেগের। সেটি স্পেলের শেষ ওভারে। বোলিংয়ের পাশাপাশি নজর কাড়ল ফিল্ডিংয়ে তাঁর উপস্থিতবুদ্ধি।

এই খবরটিও পড়ুন

ভারতকে প্রথম ব্রেক থ্রু দেন পার্টটাইম স্পিনার আয়ুষ মাহত্রে। মূলত ওপেনার। দু-দিকে বাঁ হাতি থাকায় তাঁকে বোলিংয়ে আনা হয়। দ্বিতীয় উইকেটটিও আয়ুষ মাহত্রের সৌজন্যেই। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটের ক্ষেত্রে টিম ওয়ার্ক বলা যায়। তিনে নামা ডান হাতি ব্যাটার হারুন আর্শাদ স্লগ সুইপ খেলেছিলেন। টপ এজ লেগে বল উপরে। ক্যাপ্টেন মহম্মদ আমান পিছন দিকে দৌড়চ্ছিলেন। ডাইভ দিলেও বল তাঁর হাত থেকে ছলকে যায়। ডিপ থেকে ক্যাচের জন্য এগিয়ে আসছিলেন যুধাজিৎও। ক্যাপ্টেনকে দেখে থেমে যান। তবে সতর্ক ছিলেন। আমানের হাত থেকে বল ছলকে যেতেই ফরোয়ার্ড ডাইভে ক্যাচ নেন যুধাজিৎ। এই ভিডিয়ো দেখলেই বোঝা যাবে, টিম ওয়ার্ক।



Leave a Reply