দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে ২৭ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে ১১তম কমনওয়েলথ ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপ। ক্যারাটে ডো অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের সভাপতি এবং ওয়ার্ল্ড কারাতে ফেডারেশন (WKF)-এর রেফারি ও বিচারক হনশি প্রেমজিৎ সেন, চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতীয় রেফারি হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য সেখানে গিয়েছিলেন।
পশ্চিমবঙ্গের ৭জন ক্যারাটে খেলোয়াড়, কিংবদন্তি ক্যারাটে প্লেয়ার হনশি প্রেমজিৎ সেনের প্রশিক্ষণে জাতীয় দলে অংশ নিয়েছিলেন। সেখান থেকে একাধিক পদক জিতে ফিরেছেন ৬ প্লেয়ার। কমনওয়েলথ ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপ কমনওয়েলথ কারাতে ফেডারেশন দ্বারা আয়োজিত একটি মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতা, যেখানে কমনওয়েলথ দেশগুলির শীর্ষ ক্যারাটে খেলোয়াড়রা অংশগ্রহণ করেন।
পদক তালিকায় সবচেয়ে শীর্ষে ভারতকে রাখার নেপথ্যে বাংলার প্লেয়ারদের বড় অবদান ছিল। একথা বলেছেন ক্যারাটে ডো অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের সভাপতি এবং ওয়ার্ল্ড কারাতে ফেডারেশন (WKF)-এর রেফারি ও বিচারক হনশি প্রেমজিৎ সেন।
ডারবানে অনুষ্ঠিত হওয়া ১১তম কমনওয়েলথ ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে বিপাশা পাল তিনটি পদক পেয়েছেন। তিনি যে বিভাগে পদক পেয়েছেন সেগুলি হল – ক্যাডেট টিম কাতা স্বর্ণপদক, ইন্ডিভিজুয়াল কাতা স্বর্ণপদক, এবং এলিট ইন্ডিভিজুয়াল রৌপ্যপদক।
বাংলার ক্যারাটে প্লেয়ার দিয়া রায় ক্যাডেট টিম কাতা স্বর্ণপদক এবং ইন্ডিভিজুয়াল কাতা রৌপ্যপদক পেয়েছে। শ্রী দাসের ঝুলিতে ক্যাডেট টিম কাতা স্বর্ণপদক এসেছে।
১১তম কমনওয়েলথ ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে মোট ৩টি ব্রোঞ্জ পদক এসেছে। দেবাংশ বোস – সাব-জুনিয়র ইন্ডিভিজুয়াল কুমিতে ব্রোঞ্জ পদক (+৫৫ কেজি) পেয়েছে।
দেবাংশ বোস ছাড়া ইশান ওয়াফি ও লাভ্যন ছাজের সাব-জুনিয়র টিম কাতা ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছেন। ১১তম কমনওয়েলথ ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে পশ্চিমবঙ্গের ক্যারাটে খেলোয়াড়দের নজরকাড়া সাফল্য সকলের চোখে পড়ার মতো।
ক্যারাটে ডো অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের সভাপতি এবং ওয়ার্ল্ড কারাতে ফেডারেশন (WKF)-এর রেফারি ও বিচারক হনশি প্রেমজিৎ সেন বলেন, “আমার ছাত্র-ছাত্রীদের আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই সাফল্য অর্জন করতে দেখে আমি অত্যন্ত গর্বিত। ওদের পরিশ্রম এবং নিষ্ঠা আজ সার্থক হয়েছে। এবং ওদের সাফল্যের যাত্রায় আমি একটি ভূমিকা রাখতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।”