সইফ নন, এই ক্রিকেটারকেই বিয়ে করতে চলেছিলেন অমৃতা, আচমকাই…


বাইশগজ ও সেলুলয়েডের সম্পর্ক আজকের নয়— সেই কবে থেকে নায়িকার প্রেমে দিশেহারা হতে দেখা গিয়েছে তাবড় তাবড় ক্রিকেটারকে। কিছু প্রেম গড়িয়েছে প্রেম পর্যন্ত। ওদিকে কিছু প্রেম থেকে গিয়েছে অপূর্ণ। এই যেমন রবি শাস্ত্রী ও অমৃতা সিংয়ের সেই দুরন্ত প্রেমের পরিণতি কে না জানে! কেন ভেঙেছিল তাঁদের সম্পর্ক? রইল টিভিনাইন বাংলার এই প্রতিবেদনে।

ফিরে দেখা যায় ৮-এর দশক। সে সময় ভারতীয় ক্রিকেট টিমের অন্যতম রত্ন ছিলেন রবি শাস্ত্রী। ওদিকে অমৃতার কেরিয়ারও তখন তুঙ্গে। প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে তিনি রয়েছেন। এমনই এক সময় এক ছবি ফাঁস হয়ে যায়। দেখা যায় নিউ ইয়র্কের এক রেস্তরাঁয় অন্তরালে বসে রয়েছেন শাস্ত্রী ও অমৃতা। খবরটা এ দেশে ছড়িয়ে পড়তেও বেশি সময় লাগেনি। শোনা যায় অমৃতার আঙুলে আংটিও পরিয়ে দিয়েছিলেন শাস্ত্রী। বিয়ের প্ল্যানিংও ছিল দু’জনের। এমনকি এই প্রেমের সম্মতি ছিল তাঁদের দু’জনের পরিবারেও। কিন্তু তাও কেন সম্পর্ক গড়াল না বিয়ে পর্যন্ত?

অমৃতাকে বিয়ে করার জন্য একটি শর্ত দিয়েছিলেন রবি। তিনি চেয়েছিলেন অমৃতাকে কেরিয়ার ছাড়তে হবে। অমৃতা রাজি হননি। সে সময় তাঁর কেরিয়ার তুঙ্গে। সব ছেড়ে দিয়ে শুধু রবির স্ত্রী এই পরিচয় মেনে নিতে চাননি তিনি। ওদিকে রবিও গর্ব করে বলেছিলেন তিনি পুরুষতন্ত্রে বিশ্বাসী। তিনি চান তাঁর স্ত্রীর কাছে বাড়িই প্রথম পছন্দের হওয়া উচিৎ। ওদিকে অমৃতা তা মেনে নিতে চাননি।

তিনি বলেছিলেন, “এই মুহূর্তে আমি আমার কেরিয়ার নিয়ে বেজায় ব্যস্ত। আমি তা কখনওই ছেড়ে দিতে চাই না। কিছু বছর পর হলে হয়তো এই প্রস্তাব মেনে নিতাম”। এর পর সইফ আলি খানকে বিয়ে করেন অমৃতা। কিন্তু সেই বিয়ে সুখের হয়নি। বিচ্ছেদ হয় তাঁর। ওদিকে ১৯৯০ সালে ঋতুকে বিয়ে করেন রবি। ২২ বছর বিবাহিত জীবন কাটিয়ে ২০১২ সালে বিচ্ছেদ হয় তাঁদের।

Leave a Reply