একাদশে পরিবর্তন, রোহিত শর্মার ব্যাটিং পজিশনও পরিষ্কার!


তিন ম্যাচ, আলাদা একাদশ। অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতীয় দলের পরিস্থিতি এখনও অবধি তাই। পারথে শুরু হয়েছিল এ বারের সফর। প্রথম টেস্টে ছিলেন না নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। চোটের জন্য শেষ মুহূর্তে ছিটকে গিয়েছিলেন শুভমন গিলও। স্বাভাবিক ভাবেই ভারতের ব্যাটিং কম্বিনেশনে বদল করতে হয়েছিল। তিনে খেলেছিলেন দেবদত্ত পাড়িক্কাল। প্রাথমিক ভাবে ঠিক ছিল, লোকেশ রাহুল ওপেন করবেন যশস্বীর সঙ্গে, তিনে শুভমন। রোহিত ফিরলে রাহুল মিডল অর্ডারে। পারথে লোকেশ রাহুল-যশস্বীর ওপেনিং জুটি সাফল্য পায়। অ্যাডিলেডে রোহিত-শুভমন দু-জনেই ফেরায় ব্যাটিং কম্বিনেশনে বদল করতে হয়।

পারথের সাফল্য দেখে অনেকেই চাননি ওপেনিং কম্বিনেশন ভাঙা হোক। ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মাও চাননি। পছন্দের ওপেনিং পজিশন ছেড়ে দীর্ঘ ছয় বছর পর ফিরেছিলেন মিডল অর্ডারে। টেস্টে ছয় নম্বরে ব্যাট করেই ব্যাটিং গড় সবচেয়ে বেশি রোহিতের। যদিও অ্যাডিলেডে ছয়ে ফেরা সুখের হয়নি। দু-ইনিংসেই ব্য়র্থ। ব্রিসবেনে ওপেনিংয়ে ফিরবেন কি না, এই নিয়ে ব্যাপক ধোঁয়াশা ছিল। টস জিতে ফিল্ডিং নেন রোহিত। তাঁর পজিশনের জন্য ভারতীয় ব্যাটিংয়ের অপেক্ষা করতে হবে। এখনও অবধি যা চিত্র, রোহিত মিডল অর্ডারেই।

ভারতের একাদশে জোড়া পরিবর্তন হয়েছে। প্রথম ম্যাচে একমাত্র স্পিনার হিসেবে খেলানো হয়েছিল অফস্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দরকে। গোলাপি টেস্টে অভিজ্ঞ রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে খেলানো হয়। তৃতীয় টেস্টে পুরনো ফর্মেশন ফেরানো হয়েছে। অর্থাৎ বিদেশের মাটিতে একমাত্র স্পিনার হিসেবে রবীন্দ্র জাডেজাকেই অগ্রাধিকার। টসের পর ব্যাটিং পজিশন নিয়ে রোহিত কিছু না বললেও টিমের পক্ষ থেকে যে লিস্ট দেওয়া হয়েছে, তাতে ওপেনিংয়ে যশস্বী-রাহুলই। রোহিত রয়েছেন ছয় নম্বরেই। এই ম্যাচে পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে চতুর্থ টেস্টে অন্য পরিকল্পনা হতেই পারে।



Leave a Reply