চরম হতাশার ‘সকাল’, ভালো ডেলিভারির চেয়ে বৃষ্টি বেশি!


মেঘলা আবহাওয়া এবং পিচে ঘাস। টস জিতে বোলিং নিতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। যদিও নতুন বলে বুমরা কিংবা সিরাজ যেন ধোঁকা খেলেন। ভেবেছিলেন হাওয়ায় সুইং থাকবে। সেটা হল না। পিচ থেকে কোনও মুভমেন্ট নেই। ভারতীয় সময় হোক আর ব্রিসবেন টাইম। চরম হতাশার সকাল বলা যায়। সেটা সকলের জন্যই। ভালো ডেলিভারির চেয়ে বৃষ্টি বেশি। হাতে গোনা কিছু বলার মতো পরিস্থিতি। দুটি স্লিপ ক্যাচ শর্ট পড়ে। আকাশ দীপের বোলিংয়ে আউট সাইড এজ মিস হয়। আর কোনও উদাহরণ, খুঁজতে হবে!

ম্যাচ শুরু হয় নির্দিষ্ট সময়েই। বুমরা ওভার দ্য উইকেট বোলিং করছিলেন। পিচে বাউন্স বেশি। লেগ বিফোরের সম্ভাবনা অনেক কম। উসমান খোয়াজা যে স্টান্স নেন, তাতে ফোর্থ স্টাম্প লাইনে বল করলেও সাফল্যের গ্যারান্টি নেই। সিরাজ শর্ট বল করে খোয়াজাকে সেট হওয়ার সুযোগ করে দেন। এমন সময় বৃষ্টি, কিছুটা যেন স্বস্তি দিয়েছিল। ৫.৩ ওভারের পরই পাসিং শাওয়ার। তাতেই আধঘণ্টার মতো খেলা বন্ধ থাকে। বৃষ্টি বিরতির পর বোলিংয়ে কামব্যাক করছিল ভারত। আকাশ দীপকে দেখে যেন ‘শিখলেন’ সিরাজও।

এই খবরটিও পড়ুন

প্রথম স্পেলে বুমরা ৬ ওভার বোলিং করেন। ৩ ওভারের পরই সিরাজকে সরিয়ে আকাশ দীপকে আনা হয়। তাঁর লাইন লেন্থ অনবদ্য। বল উপরে পিচ করালেন। সুইংও করালেন। যা দেখে সিরাজও যেন প্রেরণা পেলেন। দ্বিতীয় স্পেলে তুলনামূলক ভালো বোলিং সিরাজের। বাঁ হাতি উসমান খোয়াজার বিরুদ্ধে বুমরাও রাউন্ড দ্য উইকেট বোলিংয়ে এলেন এবং চ্যালেঞ্জে ফিরলেন। মনে হচ্ছিল, এ বার কঠিন পরীক্ষায় পড়তে চলেছেন অজি ওপেনাররা। ১৩.২ ওভারে ফের বৃষ্টি। এ বার তুলনায় আরও ভারী বৃষ্টি। ফের থামাতে হল খেলা।

অস্ট্রেলিয়ার হাতেও যে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তা নয়। ১৩.২ ওভার ব্যাট করে উইকেট না হারালেও রানের গতি বেশি নয়। মাত্র ২৮ রান বোর্ডে। আকাশ দীপের স্পেল প্রবল চাপে ফেলে অজি ওপেনারদের। দ্বিতীয় বারের বৃষ্টি হতাশায় রাখল গ্যালারিকেও।



Leave a Reply