প্রশ্নের মুখে ছিলেন। সেঞ্চুরিতে জবাব দিলেন। স্টিভ স্মিথের ক্ষেত্রে যেন এটাই বলা যেতে পারে। এ বছর মাত্র একটি হাফসেঞ্চুরি ছিল। ব্রিসবেন তাঁর লাকি গ্রাউন্ড। এ বারও ভাগ্য সঙ্গ দিল। হাফসেঞ্চুরি পেরোতেই যেন পুরনো ছন্দে বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম সেরা ব্যাটার স্টিভ স্মিথ। উল্টো দিক ট্রাভিস হেড বিধ্বংসী ব্যাটিং করছিলেন। স্টিভ স্মিথ খেললেন ধ্রুপদী টেস্ট ইনিংস। ব্রিসবেন তাঁকে খালি হাতে ফেরাল না। সব মিলিয়ে ৩৩তম টেস্ট সেঞ্চুরি। সংখ্যায় ছুঁলেন ইংল্যান্ড কিংবদন্তি অ্যালেস্টার কুককে।
ফ্যাব ফোরের চার সদস্য জো রুট, বিরাট কোহলি, কেন উইলিয়ামসন এবং স্টিভ স্মিথ। এর মধ্যে জো রুট ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করেছেন টেস্টে। বাকি তিনজনই খেই হারিয়েছেন। পারথ টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট কোহলি। এ বার সেঞ্চুরি স্মিথের। দ্বিতীয় নতুন বলের অপশন আসতেই সুযোগ হাতছাড়া করেনি ভারত। সে সময় স্মিথ ৯৫ রানে।
দ্বিতীয় নতুন বলে বুমরার সঙ্গী আকাশ দীপ। দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার পর আট নম্বর ডেলিভারিতে স্ট্রাইক পান স্মিথ। আর প্রথম ডেলিভারিতেই বাউন্ডারি মেরে ৯৯-তে স্মিথ। পরের ডেলিভারিতেই সেঞ্চুরি। ১৮৫ বলে মাইলফলকে পৌঁছন স্মিথ। ভারতের বিরুদ্ধে ১০ নম্বর সেঞ্চুরি।
এই খবরটিও পড়ুন
ডেভিড ওয়ার্নারের অবসরের পর অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং স্লট খালি হয়। অস্ট্রেলিয়া শিবির প্রবল চাপে ছিল। মেকশিফ্ট ওপেনার করা হয়েছিল স্টিভ স্মিথকে। কিন্তু কেরিয়ারের দীর্ঘ সময় চারে ব্যাট করা স্টিভ স্মিথ ওপেনার হিসেবে সাবলীল ছিলেন না। ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজের আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়, পছন্দের চার নম্বরেই ব্যাট করবেন স্টিভ স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ার টপ ফোরের পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তা ছিল। তাতে লাভ ভারতেরই। কিন্তু স্টিভ স্মিথ ফর্মে ফিরতে চাপ বাড়ল ভারতের।