স্টাফ রিপোর্টার: কঠিন সমস্যা। মাদিহ তালাল, সল ক্রেসপো, জিকসন সিংয়ের মতো প্রথম একাদশের তিন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার নেই। এসবের মধ্যেই মঙ্গলবার ঘরের মাঠে ইস্টবেঙ্গলের সামনে পাঞ্জাব এফসি। তিন গুরুত্বপূর্ণ মাঝমাঠের ফুটবলার না থাকায়, মঙ্গলবার মাঝমাঠে লাল-হলুদের হাল ধরবেন কে? পাঞ্জাব ম্যাচের আগের দিনের অনুশীলনে দেখা গেল এক অন্যরকম দৃশ্য। মাঝমাঠের সমস্যা মেটাতেই কি সিচুয়েশন অনুশীলনের সময় অস্কার চার ডিফেন্ডার হিসাবে হেক্টর ইউয়েস্তে, হিজাজি মাহের, রাকিব আর নুংচুঙ্গাকে রেখে তাঁদের সামনে রাখলেন আনোয়ার আলিকে? পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে এই পজিশনেই খেলতে হবে আনোয়ারকে। ফলে তাঁর কাঁধে বাড়তি দায়িত্ব মঙ্গলবার। মাঝমাঠে আর থাকছেন সৌভিক, মহেশ, নন্দ। সামনের দিকে ডেভিড ও ক্লেটন।
হেক্টর সুস্থ হচ্ছেন। আগের ম্যাচে প্রথম একাদশে না থাকলেও মঙ্গলবার তিনি প্রথম একাদশে ফিরছেন। দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোসকে এদিন শুরুতে আলাদা করে ফিজিওর সঙ্গে দৌড়াতে দেখা গেলেও, সিচুয়েশন অনুশীলনের সময় দেখা গেল দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে। বোঝাই গেল কোচের পরিকল্পনা যে তিনি রয়েছেন, তবে কতক্ষণ মাঠে থাকবেন তা ঠিক হবে কতটা সুস্থ হয়েছেন, তার উপর। পরিবর্ত হিসাবে দিয়ামান্তাকোসের আসার সম্ভাবনাই বেশি। এমন পরিস্থিতিতে ইস্টবেঙ্গল কোচ বলছেন, “চ্যালেঞ্জিং মুহূর্ত। সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে। আইএসএলের অন্যতম ভালো দলের বিরুদ্ধে নামতে চলেছি। প্রতিপক্ষ হিসাবে পাঞ্জাব যথেষ্ট ভালো। তবে কিছু সিদ্ধান্ত আমাদের পক্ষে যাচ্ছে না। যার ফলে পরিস্থিতি কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কখনও কখনও প্রতিপক্ষের থেকেও কম ফুটবলার নিয়ে খেলতে হচ্ছে। অথচ আমরা এতটাও আগ্রাসী নই।”
পাঞ্জাব এফসি-র ১০ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট। সেরা ছয়ে থাকার লড়াইতে প্রবলভাবে রয়েছে তারা। প্রতিপক্ষ নিয়ে বলতে গিয়ে অস্কার যোগ করেন, “ওরা ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলছে। ১০ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সামনের দিকে দেখছে। আমাদের একটাই লক্ষ্য এই ম্যাচটি জিতে ওদের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধানটা কমানো।”
মুখে হয়তো বলছেন পয়েন্টের ব্যবধান কমাতে চান, কিন্তু কাজটা যে সহজ নয়, তা ভালোভাবেই জানেন লাল-হলুদ কোচ। ইস্টবেঙ্গল যেমন গত ম্যাচে ওড়িশা এফসির কাছে হেরে গিয়েছে তেমনই পাঞ্জাবও শেষ ম্যাচে জামশেদপুর এফসির কাছে হেরে গিয়েছে। দুই দলই চাইবে এই ম্যাচ থেকে ফের জয়ের রাস্তায় ফিরতে।