সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনও রকমে ফলো অনের লজ্জা বাঁচিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। মাথায় এখনও বিরাট রানের বোঝা আছে ঠিকই, কিন্তু ভারতীয় দলকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে শেষবেলায় ব্যাট হাতে বুমরাহ-আকাশ দীপের লড়াই। লড়াইয়ের সেই মঞ্চটা তৈরি করে দিয়েছিলেন কেএল রাহুল ও রবীন্দ্র জাদেজা। চতুর্থ দিনের শেষে রাহুল জানিয়ে গেলেন, ধৈর্য্য ধরেই সাফল্য এসেছে।
গাব্বায় ব্যর্থ হয়েছে ভারতীয় ব্যাটিং। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা ফিরে গিয়েছেন অল্প রানে। সেখানে মাটি কামড়ে পড়ে থেকে ৮৪ রান করেছেন রাহুল। কীভাবে সাফল্য পেলেন রাহুল? তিনি জানালেন, “বিদেশের মাটিতে ভালো মানের পেসারদের সামলাতে হলে ধৈর্য্য ধরতে হয়। প্রথম ২০-৩০ ওভার বোলারদের সম্মান জানাতে হয়। চাপ সামলে বুঝতে হয় কখন রান তোলা যাবে। বিদেশের মাটিতে রান তোলার কাজটা সঠিক সময়ে করতে হয়।”
সেই সঙ্গে রাহুল প্রশংসা করেছেন জাদেজার ইনিংসের। ভারত যে ফলো অন এড়াতে পারল, তাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে জাদেজার ৭৭ রানের। রাহুলের সঙ্গে জুটি বেঁধে জুড়েছেন মূল্যবান ৬৭ রান। সেই প্রসঙ্গে রাহুলের বক্তব্য, “আমি খুশি যে, একটা দারুণ পার্টনারশিপ গড়তে পেরেছি। জাদেজার প্রত্যেকটা রান খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ও জানে, ওকে কী করতে হবে। সাধারণত জাদেজার বোলিং নিয়েই প্রশংসা হয়, কিন্তু আমার মতে ব্যাট হাতেও ও দারুণ। জাদেজার টেকনিক খুব ভালো। কী করতে হবে, সেটা সম্বন্ধে ওর পরিষ্কার ধারণা আছে।”
রাহুল প্রশংসার বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছেন বুমরাহ ও আকাশ দীপকে। শেষবেলায় তাঁদের মরিয়া লড়াইয়ের সৌজন্যে ভারত ফলো অন বাঁচিয়েছে। দিনের শেষে আকাশ দীপ অপরাজিত ২৭ রানে। বুমরাহর রান ১০। তাঁদের নিয়ে রাহুল বলছেন, “লোয়ার অর্ডার রান করেছে দেখে খুব ভালো লাগছে। শেষ আধ ঘণ্টায় ওরা শুধু রান করেনি, সেই সঙ্গে বাউন্সারের বিরুদ্ধে লড়ার সাহস দেখিয়েছে। দারুণ কিছু শট খেলেছে। ওদের ইনিংস আমাদেরও আত্মবিশ্বাস দেবে।” এবার দেখা যাক, বুমরাহ-আকাশ দীপের জুটি পঞ্চম দিনে ভারতকে কতদূর এগিয়ে দিতে পারে।