রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়: রাতের অন্ধকার কেটে গিয়ে সূর্য উঠল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আকাশে। দীর্ঘ টালবাহানার পর শেষ পর্যন্ত কেটে গেল জট। যা ভাবা হয়েছিল,ঠিক তাই হচ্ছে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হাইব্রিড মডেলেই হচ্ছে। পাকিস্তানে খেলতে যাবে না ভারত। কিন্তু ঠিক একই রকম ভাবে আগামী ২০২৭ পর্যন্ত ভারতে আয়োজিত সমস্ত আইসিসি টুর্নামেন্টে খেলতে আসবে না পাকিস্তান। তখন পাকিস্তান নিজেদের ম্যাচ খেলবে নিরপেক্ষ কেন্দ্রে। তাদের ক্ষেত্রে হাইব্রিড মডেল অনুসরণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি পেশ করে আইসিসি জানিয়ে দেয়, ২০২৪ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত সমস্ত আইসিসি টুর্নামেন্টে সমস্ত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিরপেক্ষ কেন্দ্রে খেলা হবে। টুর্নামেন্টের আয়োজক যারা হবে, তাদের পছন্দ মতো নিরপেক্ষ কেন্দ্র নির্বাচন করা হবে। সহজে, ২০২৭ পর্যন্ত সমস্ত আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারত ও পাকিস্তান, দু’দেশের ক্ষেত্রেই হাইব্রিড মডেল অনুসরণ করা হবে। অর্থাৎ, আগামী বছর মহিলা বিশ্বকাপ এবং ২০২৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ভারতে আয়োজিত দু’টো টুর্নামেন্টে পাকিস্তান খেলতে আসবে না। তারা নিজেদের ম্যাচ খেলবে নিরপেক্ষ কেন্দ্রে।
সে সমস্ত ঠিক আছে। কিন্তু মুশকিল হল, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নাটক যেমন একদিকে শেষ হল, আর একদিকে আবার হলও না। আর সে নতুন নাটকের নাম নিরপেক্ষ কেন্দ্র নির্বাচন। আগামী ফেব্রুয়ারিতে আয়োজিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত নিরপেক্ষ কেন্দ্রে নিজেদের ম্যাচ খেলবে, সেটা জানানো হয়েছে এ দিন আইসিসি-র পক্ষ থেকে। কিন্তু কোথায় খেলবে, সেটা জানানো হয়নি। ওয়াকিবহাল মহলের খবর ধরলে, আইসিসি আর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে নতুন ঝামেলা বেঁধেছে সেই কেন্দ্র নির্বাচন নিয়ে। শোনা যাচ্ছে, আইসিসি চায় ভারত দুবাইয়ে খেলুক। কিন্তু পাকিস্তান বোর্ড আবার দুবাইকে ভারত ম্যাচের কেন্দ্র হিসেবে চায় না। তারা চায়, ভারতের নিরপেক্ষ কেন্দ্র হিসেবে কলম্বোকে নির্বাচন করা হোক!
এ দিন সন্ধেয় কেউ কেউ বলছিলেন, দুবাইয়ের চেয়ে কলম্বোয় ভারতের ম্যাচ আয়োজন হলে, খরচ তুলনামূলক অনেক কম। পাক বোর্ডের কোষাগারে অনেক বেশি অর্থ থাকবে তখন। দুবাইয়ে খেলা হলে যা নাকি হবে না। তা ছাড়া দুবাইয়ে খেলা হলে ‘গেট মানি’ যে পুরোপুরি পাকিস্তান পাবে, তারও কোনও গ্যারান্টি নেই। কিন্তু আইসিসি শোনা যাচ্ছে, দুবাই থেকে ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচ সরাতে চাইছে না। এবার দেখার, আইসিসি বনাম পাক বোর্ডের এই নতুন লড়াইয়ে কে জেতে?