সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আট ম্যাচ পর খসল মোহনবাগানের ‘অপরাজিত’ তকমা। অ্যাওয়ে ম্যাচে গোয়ার কাছে হার মানল সবুজ-মেরুন। ম্যাচের ফলাফল ২-১। গোয়ার হয়ে দুটি গোলই ব্রিসন ফার্নান্দেজের। মোহনবাগানের হয়ে একটি গোলশোধ করেন পেত্রাতোস। এই ম্যাচ হারলেও লিগশীর্ষেই রইল মোলিনার দল।
গোয়া ম্যাচের আগে মোহনবাগান কোচ মোলিনার বক্তব্য ছিল, ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চান। সেই অনুযায়ী চেনা ফুটবল ঘরানাই তুলে ধরতে চেয়েছিলেন পেত্রাতোসরা। কেরালার কামব্যাকের দলই নেমেছিল গোয়ার বিরুদ্ধে। কিন্তু ঘরের মাঠে চাপ বাড়াতে থাকে গোয়া। যার ফল মিলল ১৩ মিনিটের মধ্যেই। ব্রিসন ফার্নান্দেজের আচমকা শট মোহনবাগানের ডিফে গায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে। মোহনবাগানের গোলকিপার বিশাল কাইথ ঝাঁপ দিয়েছিলেন অন্য দিকে। তাঁকে স্তম্ভিত করে জালে বল জড়িয়ে যায়। তারপরও ধারাবাহিকভাবে চাপ বজায় রেখেছিল গোয়া। প্রথমার্ধে ব্যতিব্যস্ত থাকতে হয়েছিল বিশালকে। যদিও মনবীররা উইং দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেননি। সহজ সুযোগ মিস করেন পেত্রাতোস। একেবারেই চোখে পড়েননি ম্যাকলারেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই চমকে দেন সাহাল আব্দুল সামাদ। তাঁর দূরপাল্লার শট কোনওমতে সামলান গোয়ার গোলকিপার। কিন্তু টানা চাপ সামলাতে পারেনি তারা। সবুজ-মেরুনের প্রাক্তন স্ট্রাইকার আর্মান্দো সাদিকুর হ্যান্ডবলে পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। সেখান থেকে দলকে এগিয়ে দেন পেত্রাতোস। কিন্তু চাপও রইল। খানিক পরেই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন তিনি। একে গ্রেগ স্টুয়ার্ট নেই। তার উপর পেত্রাতোসও চোট পেলেন। তিনি মাঠ ছেড়ে উঠে যাওয়ার খানিকক্ষণের মধ্যেই দ্বিতীয় গোল হজম করে মোহনবাগান। রক্ষণভাগকে বোকা বানিয়ে হেডে গোল করে যান সেই ব্রিসন। বোরহার বাঁকানো বল যখন বক্সে ভেসে আসছে, তখন কেউই ব্রিসনকে খেয়ালই করেননি। আর সেটাই পার্থক্য গড়ে দিল। শেষের দিকে চাপ দিয়েও কেরালা ম্যাচের মতো মির্যাকল ঘটেনি।