অনবদ্য ডিফেন্ডিং; বাজল জয়ের ‘ঘণ্টা’, গ্যালারিতে লাল-হলুদ মশাল


ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ফের একবার টানা দু-ম্যাচে জয় ইস্টবেঙ্গলের। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এ মরসুমের আগে অবধি টানা দু-ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি। এ মরসুমে দু-বার এমন হল। যদিও মরসুমের শুরুটা হয়েছিল অত্যন্ত হতাশার। আইএসএলে প্রথম আধডজন ম্যাচেই হেরেছিল ইস্টবেঙ্গল। সপ্তম ম্যাচে ড্র এবং অষ্টম ম্যাচে প্রথম জয়। গত ম্যাচে পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন দেখা গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের। প্রথমার্ধে ২ গোলে পিছিয়ে পড়েও ৪-২ ব্যবধানে জিতেছিল তারা। এ দিন হোম ম্যাচে খালিদ জামিলের জামশেদপুর এফসিকে ১-০ ব্যবধানে হারাল ইস্টবেঙ্গল।

গত দু-ম্যাচেই জিতে এসেছে জামশেদপুর এফসি। ফলে অস্কার ব্রুজোর কাছে লড়াইটা সহজ ছিল না। চোটের কারণে একঝাঁক প্লেয়ার বাইরে। গত ম্যাচে চোট পেয়ে পুরো মরসুম থেকেই ছিটকে গিয়েছেন মাদিহ তালালও। ইস্টবেঙ্গল কোচকে ফর্মেশন থেকে পরিকল্পনা, নানা বদল করতে হয়েছে। শেষ অবধি বাজিমাতও করেছেন। ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্স অনবদ্য পারফর্ম করেছে। ফলে আক্রমণ ভাগও আত্মবিশ্বাস পেয়েছে।

এই খবরটিও পড়ুন

ডিফেন্স দুর্দান্ত হওয়ায় বড় স্বস্তি ছিল। আনোয়ার আলি দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। ইস্টবেঙ্গল একটি গোল লাইন সেভও করেছে। অবশেষে ম্যাচের কাঙ্খিত গোল ঠিক এক ঘণ্টায়। অনবদ্য একটা মুভ, শেষে নন্দকুমারের থেকে বল পান দিমিত্রিয়স ডায়মান্টাকোস। তাঁর একটি সেখান থেকে গোল না করাটাই কঠিন কাজ ছিল। ১২ ম্যাচের মধ্যে চতুর্থ জয়। একটি ড্র। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবলে ১০ নম্বরে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল। উপরে থাকা দলগুলির সঙ্গে ব্যবধান কিছুটা হলেও কমল।

Leave a Reply