সময়ের সঙ্গে প্রতিটা টিম উন্নতি করে। অন্যান্য টিমকে কড়া চ্যালেঞ্জ করে। মহমেডান স্পোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে যেন বিষয়টা উল্টো হচ্ছে। প্রথম বার ইন্ডিয়ান সুপার লিগে খেলছে মহমেডান স্পোর্টিং। শুরুর দিকে দুর্দান্ত খেলছিল তারা। স্নায়ুর চাপ এবং অনভিজ্ঞতার কারণে সাফল্য না পেলেও পারফরম্যান্সে নজর কাড়ছিল। এমনকি চেন্নায়িন এফসির মতো টিমকে অ্যাওয়ে ম্যাচে হারিয়েছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে মহমেডান যেন উল্টো পথে হেঁটেছে। টানা পাঁচ ম্যাচে হার মহমেডান স্পোর্টিংয়ের।
কলকাতা মিনি ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত সুযোগ ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর। সেই ম্যাচে ৩০ মিনিটের মধ্যেই ৯ জনে পরিণত হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তাতেও অবশ্য মহমেডান পেরে ওঠেনি। ড্র করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল। সেই ম্যাচের পর টানা পাঁচটি হার। এ দিন ঘরের মাঠে কেরালা ব্লাস্টার্সকে প্রথম ঘণ্টা অবধি আটকে রেখেছিল সাদা-কালো ব্রিগেড। নিজেদের ভুলেই প্রতিপক্ষকে জেতার সুযোগ করে দিয়েছে।
ম্যাচের ৬২ মিনিটে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের গোলকিপার ভাস্কর রায়ের আত্মঘাতী গোলে লিড নেয় কেরালা ব্লাস্টার্স। পিছিয়ে পড়তেই আত্মবিশ্বাসের অভাব। সঙ্গে মহমেডানের যেটা নিয়মিত হয়ে আসছে অর্থাৎ শেষ দিকে স্নায়ুর চাপে ভোগা। এই রোগ সারাতে ব্যর্থ রাশিয়ান কোচ আন্দ্রে চের্নিশভ। ৬০ মিনিট অবধি কোনও গোল না খাওয়া টিমই ০-৩ ব্যবধানে হারল। ৬২ মিনিটে আত্মঘাতী গোলের পর কেরালার লিড বাড়ান নোয়া এবং আলেজান্দ্রা কোয়েফ। শেষ মুহূর্তে ১০ মিনিটের ব্যবধানে গোল এই দু-জনের। আইএসএলে ১২ ম্যাচের মধ্যে নবম হার মহমেডানের।