নতুন বিদেশি স্ট্রাইকার পাকা মহামেডানে, আসছেন কানাডার ভারতীয় বংশোদ্ভূত ফুটবলার


দুলাল দে: অবশেষে নতুন বিদেশি স্ট্রাইকার পাকা হয়ে গেল মহামেডানে। ভারতীয় বংশোদ্ভুত পাঞ্জাবী ফুটবলার, যিনি এই মুহূর্তে কানাডার অধিবাসী, সেই শান হুন্ডালকে মহামেডানে সই করানো হচ্ছে। যা দু’এক দিনের মধ্যে সরকারিভাবে ঘোষণাও করে দেবেন মহামেডান কর্তারা।

আপাতত বিদেশি ফুটবলার হিসেবে শান হুন্ডালের নাম ঠিক করে ফেলা হলেও, কয়েকদিনের মধ্যে দ্বিতীয় বিদেশি ফুটবলারের নামও ঠিক হয়ে যাবে। তবে শুধুই দু’জন বিদেশি ফুটবলার নন। দল ঠিক করতে চার-পাঁচজন ভারতীয় ফুটবলারকেও সই করানো হচ্ছে। নেওয়া হচ্ছে রাজস্থান ইউনাইটেডের মিডফিল্ডার মহিতোষ রায়কে। ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডার গুরসিমরত সিং গিল। এই মুহূর্তে সন্তোষ ট্রফিতে ব্যস্ত বাংলার আক্রণভাগের ফুটবলার ইসরাফিল দেওয়ানকেও আইএসএলে রেজিষ্ট্রেশন করানো হবে। এই ইসরাফিল দেওয়ান কলকাতা লিগেও মহামেডানের হয়ে গোল করেছেন। সন্তোষ ট্রফিতে খেলা দেখে সাদা-কালো কর্তারা ঠিক করেছেন, এইবার ইসরাফিলকে সই করানো হবে আইএসএলে। এর বাইরেও ইস্টবেঙ্গলের বেশ কয়েকজন ফুটবলারের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে দলে নেওয়ার জন্য।

বেশ কয়েকদিন ধরেই দলে কিছু ফুটবলার নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মহামেডানের ইনভেস্টর কর্তারা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, ভাল মানের ভারতীয় ফুটবলার আর কেউ ফ্রি নেই। কিছুদিন আগে পর্যন্ত ডেভিড খেলার সুযোগ পাচ্ছিলেন না ইস্টবেঙ্গলে। সেই সূত্রেই ডেভিডে ফেরাতে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে মহামেডান। আর ঠিক এরপরেই একাধিক চোটের কবলে চলে যায় ইস্টবেঙ্গল। ফলে ডেভিডকেও খেলানো শুরু হয়ে যায়। দারুণ একটা গোলও করে ফেলেন। স্বাভাবিক ভাবেই এরপর আর ডেভিডকে মহামেডানের জন্য ছাড়ার আর কোনও প্রশ্নই ওঠে না। ফলে চেষ্টা চলছে, যে ভারতীয় ফুটবলারদের পাওয়া যাবে, তাদেরই দলে নিতে। কিন্তু দু’জন বিদেশি যে নেওয়া হচ্ছে, এই সিদ্ধান্ত মোটামুটি ভাবে পাকা।

কানাডার যে বিদেশি স্ট্রাইকারকে পছন্দ করা হয়েছে, সেই শান এই মুহূর্তে খেলছেন কানাডার প্রিমিয়ার লিগের দল ভেলোর এফসি-তে। কর্তাদের আশা, তিনি এলে দলের অ্যাটাকিং সমস্যা মিটতে পারে। দ্বিতীয় বিদেশি ফুটবলার ঠিক হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছাড়া হবে একজন বিদেশি স্ট্রাইকারকে। সেক্ষেত্রে মাঞ্জোকিকে ছাড়ার কথাই ভাবা হচ্ছে। তিনিও হাল্কা চোটের কবলে রয়েছেন। তবে শেষ ম্যাচে কেরালার বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। তবে যা শোনা যাচ্ছে, তাতে মাঞ্জোকি নিজেও আর মহামেডানে থাকতে খুব একটা ইচ্ছুক নন। ফলে আরেকজন বিদেশি ফুটবলার নির্বাচন হয়ে গেলে, মাঞ্জোকির জায়গায় তাঁকে নিয়ে আসতে খুব একটা সমস্যা হবে না।

তবে যেভাবে ইনভেস্টর শ্রাচী টাকা দিচ্ছে না বলে প্রচার শুরু হয়েছে, তাতে বেজায় ক্ষিপ্ত ইনভেস্টর কর্তারা। তাদের বক্তব্য ইতিমধ্যে ৪০ শতাংশ টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর বেতন না পেয়ে বিদেশি ফুটবলাররা ফিফায় অভিযোগ করেছেন বলে যা বলা হচ্ছে, সেটাও সঠিক নয়। এই কারণেই ঠিক হয়েছে, শ্রাচী এবং বাঙ্কারহিল একসঙ্গে দু’একদিনের মধ্যে যৌথ ভাবে বিবৃতি দিয়ে সঠিক তথ্য জানিয়ে দেবে।

Leave a Reply