জসপ্রীত বুমরার ওয়াও ডেলিভারি, মাথা কাজ করল না হেড-মার্শের!


দিশাহীন ভারত! একটা সময় অবধি তেমনই পরিস্থিতি ছিল। কিছুটা যেন ভারসাম্য এসেছে। রোহিত শর্মার ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। ওয়াশিংটন সুন্দরকে খেলানো হল। অথচ তাঁকে বোলিংয়ে ওয়েটিং লিস্টেই রেখে দেন। অবশেষে ৫৩ তম ওভারে আক্রমণে ওয়াশিংটন। এরপরই টি ব্রেক। মার্নাস লাবুশেন ও স্টিভ স্মিথের মজবুত জুটি ভাঙেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ধৈর্যের কঠিন পরীক্ষা দিচ্ছিলেন মার্নাস লাবুশেন। কিন্তু সুন্দরের বোলিংয়ে মিড অফ ফিল্ডারের উপর দিয়ে মারার চেষ্টায় উইকেট। শট খেলেই বুঝেছিলেন আর রক্ষে নেই। মিড অফে বিরাট কোহলি এই ক্যাচ মিস করবেন না। ভারতীয় শিবিরে সবচেয়ে বড় স্বস্তি আনলেন জসপ্রীত বুমরাই।

লাবুশেনের উইকেটে ক্রিজে প্রবেশ ট্রাভিস হেডের। এই সিরিজের সেরা ব্যাটার। সবচেয়ে ধারাবাহিক। দুটো সেঞ্চুরিও করেছেন। ভারতের সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন বারবার। মেলবোর্ন টেস্টে তাঁর খেলা নিয়ে সংশয় ছিল। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট ছিল হেডের। ফিটনেস টেস্টে পাশ করায় তাঁকে খেলানো হয়। তবে মাইন্ডগেমে জিতলেন জসপ্রীত বুমরাই। দিনের প্রথম স্পেল বাদ দিলে ভালো বোলিংই করেছেন। তেমনই একটা ‘ওয়াও’ ডেলিভারিতে হেডের উইকেট।

বাঁ হাতি হেডের জন্য রাউন্ড দ্য উইকেট বোলিংয়ে আসেন বুমরা। স্বাভাবিক অ্যাঙ্গেলে বল ভেতরে ঢোকারই কথা। যদিও ট্রাভিস হেড ভেবেছিলেন অফস্টাম্পের কিছুটা বাইরে পড়া ডেলিভারি সোজাই যাবে। কিন্তু বল সামান্য ভেতরে ঢোকে। ট্রাভিস হেড জাজমেন্ট দিয়ে বল ছেড়েছিলেন। অফস্টাম্পের বেল উড়িয়ে দেয় সেই ডেলিভারি। খাতা খোলার সুযোগই পাননি হেড।

প্রথম সেশন থেকে ব্যাকফুটে ছিল ভারত। লাবুশেন, হেডের পর আরও একটা ধাক্কা অজি শিবিরে। এ বারও জসপ্রীত বুমরাই। ডান হাতি মিচেল মার্শকে অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরে বল করেন। শর্ট পিচ ডেলিভারি হলেও পুল করার মতো বাউন্স ছিল না। মার্শ শর্ট পিচ দেখেই পুল শট খেলেছিলেন। যদিও আউট সাইড এজ লেগে উইকেটের পিছনে পন্থের হাতে। অল্প সময়ের ব্যবধানে তিন উইকেট নিয়ে ভারতীয় শিবিরে কিছুটা হলেও স্বস্তি।



Leave a Reply