পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন, সন্তোষ ট্রফির সেমিফাইনালে বাংলা


বাংলা: ৩ (নরহরি শ্রেষ্ঠা, রবি হাঁসদা, মনতোষ মাঝি)
ওড়িশা: ১ (রাকেশ ওঁরাও)

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফিরছে বঙ্গ ফুটবলের গৌরব। দাপটের সঙ্গে সন্তোষ ট্রফির সেমিফাইনালে উঠে গেল বাংলা দল। বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদের ডেকান এরিনায় পিছিয়ে পড়েও ওড়িশাকে ৩-১ গোলে হারালেন সঞ্জয় সেনের ছেলেরা।

এমনিতে সন্তোষ ট্রফির সবচেয়ে সফল দল বাংলা। তবে গত সন্তোষ ট্রফিতে ভালো ফল করতে পারেনি রাজ্যের দল। এমনকী মূল পর্বে যোগ্যতা পর্যন্ত অর্জন করতে পারেনি বঙ্গ ফুটবল দল। শুধু গত বছর নয়, কয়েক বছর ধরেই বাংলার অবস্থা সন্তোষ ট্রফিতে ভালো নয়। সেই পরিস্থিতি বদলাতে এবার মরশুম শুরুতে দায়িত্ব দেওয়া হয় মোহনবাগানকে আই লিগ জেতানো কোচ সঞ্জয় সেনকে। সঞ্জয়ের হাতে পড়তেই বাংলা দল ছুটছে অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো। গ্রুপ পর্বে কোনও দল হারাতে পারেনি নরহরি শ্রেষ্ঠা, রবি হাঁসদাদের।

তবে কোয়ার্টার ফাইনালের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি বাংলার। গোটা টুর্নামেন্টে যে রক্ষণকে অভেদ্য মনে হচ্ছিল সেই রক্ষণেই এদিন সমন্বয়ের অভাব চোখে পড়ল। যার ফলশ্রুতিতে ম্যাচের ২৪ মিনিটেই রাকেশ ওঁরাও-য়ের গোলে এগিয়ে যায় ওড়িশা। এর পরও এগিয়ে যেতে পারত ওড়িশা। একাধিক সুযোগ তৈরি করেছিল তারা। কিন্তু কিছুটা ভাগ্যের সঙ্গ পেয়েছে বাংলা দল। তীরে এসে তরী না ডোবে সে বিষয়ে সতর্ক ছিলেন বাংলার কোচ। দলের সমস্যা হচ্ছে বুঝতে পেরে আধঘণ্টার মধ্যেই প্রথম বদলি করেন কোচ সঞ্জয় সেন। তিনি নামান ইসরাফিল দেওয়ানকে। সেটার পরই খেলার গতি বদলে যায়।

প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে নরহরি শ্রেষ্ঠার অনবদ্য গোলে এগিয়ে যায় বাংলা দল। তবে লিড পেতে বাংলাকে অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ৭৭ মিনিট পর্যন্ত। এবারে অনবদ্য গোল করলেন রবি হাঁসদা। যেভাবে বক্সের ধার থেকে তাঁর বাঁ-পায়ের শট ওড়িশার জালে জড়াল সেটা এককথায় দৃষ্টিনন্দন। ম্যাচের একেবারে শেষলগ্নে মনতোষ মাঝি গোল করে ওড়িশার কফিনে শেষ পেরেক পোঁতেন। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলে জিতে সন্তোষের সেমিতে পৌঁছে গেল সঞ্জয় সেনের বাংলা দল।

Leave a Reply