শিলাজিৎ সরকার: ১১ জানুয়ারি আইএসএলের ফিরতি ডার্বি। আগের ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলকে ২-০ গোলে পরাস্ত করেছিল মোহনবাগান। সেটা ছিল লাল-হলুদের ঘরের ম্যাচ। আগামী বছরের শুরুতেই ডার্বির আয়োজক মোহনবাগান। কিন্তু সেই ম্যাচ আয়োজন ঘিরে আচমকাই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট থেকে মোহনবাগানকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে ১১ জানুয়ারি যুবভারতীতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া নিয়ে সমস্যা হতে পারে।
কেন এই জটিলতা? জানুয়ারি মাসের ৮ তারিখ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত চলবে গঙ্গাসাগর মেলা। যে কারণে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাবুঘাট যেহেতু ট্রানজিট পয়েন্ট, তাই সেখানে কড়া নজরদারি চলবে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে পুলিশ এনে নিরাপত্তা আরও মজবুত করার চেষ্টা চলছে। এই পরিস্থিতিতে ১১ জানুয়ারি ডার্বির জন্য পুলিশ মোতায়েন করা যথেষ্ট কঠিন হয়ে পড়বে।
সেই বিষয়ে মোহনবাগানকে চিঠি দিয়েছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। মোহনবাগানের সচিব দেবাশিস দত্ত চিঠিপ্রাপ্তির কথা জানিয়ে বলেছেন, এই নিয়ে তারা এফএসডিএলের সঙ্গে কথা বলবেন। ফুটবলমহলের খবর, সেক্ষেত্রে বিকল্প উপায় হতে পারে দুটি। ডার্বি কলকাতার বাইরে অন্য কোথাও হোক, কিংবা ডার্বির তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হোক।
তবে মার্চে ইস্টবেঙ্গলের পর পর অনেকগুলি ম্যাচ রয়েছে। ২ মার্চ ঘরের মাঠে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে মোকাবিলা। তারপরই এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হতে হবে আর্কাদাগের। ঘরের মাঠে সেই ম্যাচ খেলেই পাড়ি দিতে হবে শিলং। সেখানে ৮ তারিখ নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ম্যাচ। এরপর ফের ১২ মার্চ আর্কাদাগের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে। এই পরিস্থিতিতে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে ৮ তারিখের ম্যাচটি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করতে পারে বলে সূত্রের খবর। যদিও তা নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই। এই অবস্থায় ডার্বি পিছিয়ে দিলে লাল-হলুদের পক্ষ থেকে চাপ তৈরি করা হতে পারে বলে অনুমান। এবার দেখার পরিস্থিতির সমাধান কোন পথে হয়?