‘ওয়াও…পুষ্পা’, নীতীশ রেড্ডি হাফসেঞ্চুরি পেরোতেই বললেন কিংবদন্তি


ফ্লাওয়ার নেহি, ফায়ার হ্যয়! যদিও অজি টিমের কাছে ওয়াইল্ড ফায়ার হয়ে দাঁড়ালেন নীতীশ কুমার রেড্ডি। ফলো অন এড়ানো প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ভারতের। এর জন্য প্রয়োজন ছিল ক্রিজে পড়ে থাকা। লাঞ্চ বিরতিতে ৪০ রানে ছিলেন নীতীশ। এরপরই দ্বিতীয় নতুন বল নেয় অস্ট্রেলিয়া। ভারতীয় শিবিরে চিন্তা ছিল, নতুন বলে কেমন খেলবেন সুন্দর-নীতীশরা। সুন্দর ধীর স্থির। নীতীশ বল ছাড়া হোক কিংবা সিঙ্গল-ডাবল এবং প্রয়োজনে অ্যাটাক। পরিণত ব্যাটিং করলেন। টেস্ট কেরিয়ারে প্রথম হাফসেঞ্চুরিও পেরিয়ে গিয়েছেন। ফলো অন এড়িয়েছে ভারত। আলোচনায় নীতীশের সেলিব্রেশনও।

হাফসেঞ্চুরির সামনে পৌঁছনোর সময় কমবক্সে সুনীল গাভাসকর। তিনি আলোচনা শুরু করেন, নীতীশ রেড্ডি এখনও অবধি ভালো পারফর্ম করে এসেছেন। তবে এই মুহূর্তে ব্যক্তিগত মাইলস্টোনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত, যত সম্ভব বেশি সময় ব্যাট করা। ভালো ডেলিভারিকে সম্মান দিয়ে সেটাই করলেন নীতীশ। অফস্টাম্পের বাইরে হাফভলি পেতেই বাউন্ডারি মারলেন। অফসাইডে তাঁর জন্য প্রোটেকশন ছিল না। ফলে সেফ শট। আর সেই বাউন্ডারিতে হাফসেঞ্চুরিও পূর্ণ হয়।

এই খবরটিও পড়ুন

ভারতীয় টিমে রবীন্দ্র জাডেজার সোর্ড সেলিব্রেশন জনপ্রিয়। নীতীশ হাফসেঞ্চুরি পেরোতেই ব্যাট দিয়ে পুষ্পা সেলিব্রেশন করেন। তাঁর ব্যাটিং, পরিণত মানসিকতা এবং সেলিব্রেশনে উচ্ছ্বসিত সুনীল গাভাসকরও। অন এয়ারেই কার্যত চেচিয়ে ওঠেন, ‘ওয়াও…পুষ্পা’! সহ ধারাভাষ্যকার মার্ক নিকোলাস বলেন, ‘নীতীশ কুমার রেড্ডি, ইজ রেডি।’ নীতীশের ইনিংসে মুগ্ধ গাভাসকর আরও বলেন, ‘এটুকু বলতে পারি, অনেক অনেক দুর্দান্ত ইনিংসের এটা প্রথম হাফসেঞ্চুরি। ও অনেক দূর যাবে।’



Leave a Reply