পঞ্চাশে পুষ্পা, সেঞ্চুরিতে বাহুবলী… নীতীশকে নিয়ে ‘কম’বক্সে ‘হাইপার’ টেনশন!


কে বেশি চিন্তায় ছিলেন? হঠাৎ এমন প্রশ্ন উঠলে ধোঁয়াশা হতে বাধ্য। আরও একটু পরিষ্কার করে বলা যাক। নীতীশ কুমার রেড্ডিকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি টেনশন? বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির চলতি সংস্করণেই টেস্ট অভিষেক হয়েছে নীতীশের। পেস বোলিং অলরাউন্ডার। আবার ব্যাটিং অলরাউন্ডার। দুটোই বলা যায়। লোয়ার অর্ডারে নেমে বেশ কয়েকটি ৪০-এর আশপাশের স্কোর ছিল। মেলবোর্নে প্রথমে হাফসেঞ্চুরি…এর পর সেঞ্চুরিও। পঞ্চাশের পর পুষ্পা সেলিব্রেশন, একশো করে বাহুবলী। তবে কে বেশি টেনশনে ছিলেন এই নিয়ে ধোঁয়াশা মিটছে না। ‘কম’বক্সে যেন ‘হাইপার’ টেনশন!

নীতীশ কুমার রেড্ডিকে নিয়ে শেষ দিকে প্রতি ডেলিভারিতেই কমেন্ট্রি বক্সে স্নায়ুর চাপে ভুগছিলেন মার্ক নিকোলাস, দীপ দাশগুপ্ত, জাস্টিন ল্যাঙ্গার। তাঁদের ঝুলি থেকে বেরিয়ে আসছিল নানা তথ্য। ৯০-এর ঘরে পৌঁছনোর পর কী কী হয় এমন নানা মজার কথাও। ওয়াশিংটন সুন্দর আউট হতে ভারতীয় টিম, গ্যালারি, নীতীশের বাবা যদি টেনশনে ভুগে থাকে, কম-বক্সে হাইপার টেনশন। ট্র্যাজিক নায়ক থেকে যাবেন না তো নীতীশ? এত অবধি পৌঁছে…!

চূড়ান্ত পর্যায়ে যায় ওয়াশিংটন আউট হতেই। স্ট্রাইক পাওয়ার পর তিনটি সিঙ্গল নেওয়ার সুযোগে মানা করে দেন নীতীশ। এই নিয়েই টেনশনে কার্যত বিবাদের পরিস্থিতি। ওর সিঙ্গল নেওয়া উচিত ছিল কি না এই নিয়ে মতপার্থক্য। জসপ্রীত বুমরা আউট হতে আরও সঙ্গীন অবস্থা। মহম্মদ সিরাজ একটা ডেলিভারি সামলাচ্ছেন, কম-বক্সেও কার্যত সাবাশি দেওয়া হচ্ছিল। তিনটে ডেলিভারি সামলে অন্যতম নায়ক সিরাজও। পরের ওভারে স্ট্রাইক পেয়ে সেঞ্চুরিটা পূর্ণ করেন নীতীশ। ৯৯ রানে পৌঁছতেই কমবক্স থেকে ভেসে আসে-নীতীশ কুমার রেডি, উই আর রেডি, গ্যালারি ইজ রেডি…এমন একটা লাইন। আর সেঞ্চুরি পূর্ণ হতেই সেলিব্রেশনও।

এই খবরটিও পড়ুন

সঙ্গে নীতীশ যেন আরও একটা প্রশ্ন রেখে গিয়েছেন। হাফসেঞ্চুরির পর ব্যাট নিয়ে পুষ্পার ঝুঁকেগা নেহি সেলিব্রেশন করেছিলেন। সেঞ্চুরির পর বাহুবলী। নীতীশ ১০৫ রানের ক্রিজে রয়েছেন। চতুর্থ দিন কোনও ভাবে যদি ১৫০-এ পৌঁছে যান? এর পর কী সেলিব্রেশন করবেন? কুইজের জন্য আদর্শ ‘টপিক’!

Leave a Reply