মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্ট রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতিতে। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির চলতি সংস্করণের সেরা ম্যাচও বলা যেতে পারে। এমসিজি-তে পঞ্চম দিন সব রকম ফলই হতে পারে। ম্যাচ যে পরিস্থিতিতে রয়েছে, সেখান থেকে বলা যায় অস্ট্রেলিয়ার জয়ের সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু ভারতের জয় কিংবা ড্রয়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ভারতীয় দলের কাছে অবশ্য মরণ বাঁচন ম্যাচ। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যেতে এই ম্যাচ জিততেই হবে। এরপর সিডনি টেস্টও। তাতেও যে ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে, এ কথা বলা যায় না। তবে হারলে ছিটকে যাওয়া নিশ্চিত।
ভারত-অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ টেস্টে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ৪৭৪ রান করেছিল। জবাবে ভারত খেই হারায়। যদিও ওয়াশিংটন সুন্দর ও নীতীশ রেড্ডির ব্যাটিংয়ে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ায় ভারতীয় দল। তাতেও স্বস্তি নেই। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনটি ক্যাচ মিস। অস্ট্রেলিয়াকে বাগে পেয়েও দ্রুত অলআউট করতে না পারা এর অন্যতম কারণ। শেষ উইকেটে ৫৫ রানের অপরাজিত জুটি নাথান লিয়ঁ ও স্কট বোল্যান্ডের। সব মিলিয়ে ৩৩৩ রানে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া।
শেষ দিন অস্ট্রেলিয়া শুরুতে ডিক্লেয়ার অন্তত করবে না এটুকু বলা যায়। তার কারণ, গত সফরে চতুর্থ ইনিংসে ৩২৯ রান তাড়া করে জিতেছিল ভারত। সে কারণেই ঝুঁকি নেবে না। সেটা হলে ম্যাচের চতুর্থ দিনই ডিক্লেয়ার করে দিত। ধরে নেওয়া যাক অস্ট্রেলিয়া এতেই ডিক্লেয়ার করল। তা হলে ভারতকে করতে হবে ৩৩৪ রান। তৃতীয় দিন মন্দ আলো ও বৃষ্টির কারণে ওভার নষ্ট হয়েছিল। সে কারণে শেষ দু-দিন একস্ট্রা ওভার খেলানো হচ্ছে।
এই খবরটিও পড়ুন
ম্যাচের পঞ্চম দিন সব মিলিয়ে ৯৮ ওভার খেলা হওয়ার কথা। দু-ওভার চেঞ্জ ওভারের জন্য (ইনিংস বিরতি) কাটা যাবে। এতেও লাইট পারমিট করলে ধরা যায় সর্বাধিক ৯৬ ওভার খেলা হবে। ৫৭৬টি লিগ্যাল ডেলিভারি। অস্ট্রেলিয়া ডিক্লেয়ার করলে ভারতকে ওভার প্রতি তুলতে হবে প্রায় সাড়ে তিন। শেষ দিনের পিচে যা খুবই কঠিন। আরও একটা সমস্যা তৈরি হতে পারে, ম্যাচের চতুর্থ দিনও দেখা গিয়েছে বল রিভার্স হচ্ছে। আকাশ দীপ রিভার্স সুইং করিয়েছেন। এই কাজটা মিচেল স্টার্ক এবং প্যাট কামিন্স করবেন, বলাই যায়।
ধরা যাক, অস্ট্রেলিয়া দ্রুত ডিক্লেয়ার করল না এবং ভারতীয় দলও অলআউট করতে পারল না। নিঃসন্দেহে টার্গেট বাড়বে। ধরা যাক ৩৫০। হাতে রইল আনুমানিক ৯০ ওভার। তাতেও কিন্তু ওভার প্রতি ৪-এর কম। ভারতের টপ অর্ডার যদি একটা ভিত গড়তে পারে, ব্যাটিং গভীরতা রয়েছে। জয়ের আশা করাই যায়। একান্তই বেকায়দায় থাকলে ড্র করার অন্তত সম্ভাবনা থাকবে। টপ অর্ডার ব্যর্থ হলে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন। রোহিত শর্মা ফর্মে নেই। তাঁর কাছে এটা বড় সুযোগ নায়ক হয়ে ওঠার।