ভিডিয়ো: গাভাসকরের পায়ে লুটিয়ে পড়লেন সেঞ্চুরিয়ন নীতীশের বাবা, তারপর…


Nitish Kumar Reddy: ভিডিয়ো: গাভাসকরের পায়ে লুটিয়ে পড়লেন সেঞ্চুরিয়ন নীতীশের বাবা, তারপর..Image Credit source: X, PTI

কলকাতা: মেলবোর্নে ব্যাট হাতে ম্যাজিক দেখিয়ে লাইমলাইটে নীতীশ কুমার রেড্ডি (Nitish Kumar Reddy)। এই ম্যাচ দেখতে গ্যালারিতে হাজির ছিল নীতীশের পুরো পরিবার। তিনি যখন অজিদের বিরুদ্ধে টেস্ট কেরিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন, সেই সময় টেলিভিশন ক্যামেরার ফোকাসে ছিলেন মুতিয়ালা রেড্ডি। চোখ দিয়ে ক্রমাগত জল গড়িয়ে পড়ছিল। ছেলের পারফরম্যান্স দেখে তিনি গর্বিত, তৃপ্ত। পরে তাঁর সঙ্গে দেখা হয় ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকর, রবি শাস্ত্রীর। গাভাসকর যার নামের সঙ্গে যুক্ত এই ট্রফি, তাঁকে সামনে পেয়ে পায়ে লুটিয়ে পড়েন নীতীশের বাবা। তারপর কী হল?

নীতীশের পরিবারকে সামনে পেয়ে সুনীল গাভাসকর বলেন, ‘সকলকে শুভেচ্ছা। এত ত্যাগ করেছেন আপনি (নীতীশের বাবাকে বলেন)। আপনার জন্য আমার চোখে জল। আপনাদের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট একটা হীরা পেয়েছে। আমি জানি নীতীশের বাবা কী কী ত্যাগ করেছে ওকে ক্রিকেট খেলতে দেওয়ার জন্য। যখন মা-বাবা ত্যাগ করে, আর ছেলে মেয়েরা সফল হয়, সেই সময় আনন্দ হয় গর্ব হয়। আমার সঙ্গেও সেটা হয়েছে। ওর সেঞ্চুরির সময় আমি কমেন্ট্রি করছিলাম। খুব আনন্দ হচ্ছিল। দুঃখও হয় যখন আমাদের ট্যালেন্টড ক্রিকেটাররা ভুল করে উইকেট দেয়। সুন্দরের সঙ্গে ভালো ইনিংস গড়েছিল নীতীশ। ওর মানসিকতা দারুণ লেগেছে। তাই ইমোশনাল হয়ে পড়েছিলাম।’

এই খবরটিও পড়ুন

গাভাসকরের পায়ে নীতীশের বাবা লুটিয়ে পড়ার পর তাঁকে বুকে টেনে নেন ভারতীয় কিংবদন্তি। সেই ভিডিয়ো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এমসিজিতে সেঞ্চুরিয়ন নীতীশের মা বলেন, ‘ছেলের জন্য খুব গর্ববোধ হচ্ছে। বলার মতো শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না। বর্ণনা করার জন্য ভাষাই যেন হারিয়ে ফেলছি। বিশ্বাসও হচ্ছে না। এত দর্শকের সামনে এত বড় মাঠে নীতীশ খেলল, সেটাই বিশ্বাস হচ্ছে না।’

নীতীশের বোন দাদার সঙ্গে খুনসুটির সম্পর্ক নিয়ে বলেন, ‘আমরা তো যেন টম অ্যান্ড জেরি। আমরা একে অপরকে ভালোবাসি। ও সব সময় বলত, আমি তোমাদের একদিন গর্বিত করব। সেটা ও পেরেছে। শুরুর দিকে অন্যান্য ফ্যান বয়, ক্রিকেট প্রেমীর মতোই ছিল। পরে বদলে যায়। ওর মাইন্ডসেট, ট্রেনিং, শৃঙ্খলা ওকে এখানে নিয়ে এসেছে। এই জার্নিটা আরও চলবে এটাই মনে করছি।’



Leave a Reply