ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা অধ্যায় ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জয়। ফাইনালে অবিশ্বাস্য রান তাড়া করেছিল ভারত। সেই সময় ওয়ান ডে ক্রিকেটে ২৫০ রানকেই সুরক্ষিত বলা হত। ভারত জিতেছিল ৩২৬ রান তাড়া করে।
ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফকে জবাব দিতে লর্ডসের গ্যালারিতে ক্যাপ্টেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জার্সি ওড়ানোর দৃশ্য ভারতীয় ক্রিকেটে আইকনিক। সেই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন মহম্মদ কাইফ।
ভারতীয় দলে যুবরাজ সিং-মহম্মদ কাইফের অনবদ্য জুটি ছিল। সেটা ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রেই হোক কিংবা ফিল্ডিং। এই দু-জন ছিলেন সৌরভের বিশ্বস্ত সৈনিক। মাঠে থাকা মানেই দুর্দান্ত ক্যাচ এবং রান আউট। ব্যাটে ব্যর্থ হলে ফিল্ডিংয়ে তা পুষিয়ে দিতেন মহম্মদ কাইফ।
ন্যাটওয়েস্ট ফাইনালে ৩২৬ রান তাড়া করতে নেমে সৌরভ-সেওয়াগ শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন। সেওয়াগ ৪৫ এবং ক্যাপ্টেন সৌরভ ৪৩ বলে ৬০ রান করেছিলেন।
মিডল অর্ডারে খেই হারিয়েছিল ভারত। দীনেশ মোঙ্গিয়া, সচিন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড় ভরসা দিতে পারেননি। এরপরই অবিশ্বাস্য পার্টনারশিপ যুবরাজ সিং ও মহম্মদ কাইফের।
যুবরাজ সিং ৬৯ রানে আউট হওয়ার পর ভারতের লড়াই ধাক্কা খেয়েছিল। কিন্তু হরভজনের সঙ্গে পার্টনারশিপ, জাহির খানকে সঙ্গে নিয়ে টিমকে চ্যাম্পিয়ন করেন মহম্মদ কাইফ।
তিন বল বাকি থাকতেই ২ উইকেটে জয় এবং চ্যাম্পিয়ন। ৭৫ বলে ৮৭ রানের অপরাজিত ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছিলেন কাইফ। ভারতীয় ক্রিকেটে এমন অনেক অবদানই রয়েছে।
উত্তর প্রদেশের এই ক্রিকেটারকে এখন ধারাভাষ্যকার হিসেবে দেখা-শোনা যায়। সেই মহম্মদ কাইফ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়োতে ঝড় তুলেছেন। যমুনা নদীতে ঝাঁপ। ছেলেবেলায় এখানেই সাঁতার শিখেছিলেন। ক্যাপশনেও সেটা উল্লেখ করেছেন। ঠিক যেন ছেলেবেলায় ফিরেছেন। সব ছবি : GETTY IMAGES/PTI/SCREENGRAB