CAB: সিএবির আবেদন নাকচ! কোন ভুলে মুখ পুড়ল বাংলার ক্রিকেট সংস্থার?Image Credit source: X
কলকাতা: বোর্ডের সচিব আর কোষাধ্যক্ষ পদে উপনির্বাচন। সেই মতো নির্বাচনী আধিকারিক নিয়োগ করা হয়। তিনি আগেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন ২৭ ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে সমস্ত অ্যাসোসিয়েশনকে তাদের প্রতিনিধিদের নাম অনলাইনে পাঠাতে হবে। সিএবি নাম পাঠাতে ভুলে যায়। পরদিন সকালে ২৮ তারিখ নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে ইমেল করে সিএবি। কিন্তু ইলেকটোরাল ড্রাফটে তা গৃহীত হয়নি।
এরপর এই বিষয়ে সেদিনই নির্বাচনী অফিসার একে জ্যোতি বলেছিলেন, ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ম মেনে হবে। নিয়ম যদি কেউ না মানে, সেটা সেই সংস্থার দোষ। সিএবি আবেদন করলেও তা গৃহীত হবে না।’ এর প্রত্যুত্তরে স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় গত রবিবার টিভি নাইন বাংলাকে বলেন, ‘এটা আমাদের ভুল। সংস্থার ভুল। তবে আগামীকাল (অর্থাৎ ৩০ তারিখ) আমরা হার্ড কপি পাঠিয়ে দেব। বোর্ডে হার্ড কপি জমা দেওয়ার ডেডলাইন ৩০ তারিখ।’ এরপর বোর্ডের উচ্চ পর্যায়ে কথা বলে সিএবি। ভাবা হয়েছিল, সিএবির আবেদনের বিষয়টি হয়তো বোর্ডের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে গৃহীত হতে পারে।
আজ নির্বাচনী অফিসার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে। সেখানে সিএবির নাম নেই। অর্থাৎ ইলেকটোরাল অফিসার গ্রহণ করেননি সিএবির আবেদন। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের নামই আবেদন করা হয়েছিল। তা খারিজ করে দেয়। ফলে বোর্ডের উপনির্বাচনে সিএবি লড়তে পারবে না। আবার ভোট দিতেও পারবে না। আগামিকাল ও পরশু মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন। বাংলার ক্রিকেট সংস্থা থেকে কেউ চাইলেও এই নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন না। এমনকি সিএবির কেউ ভোট দিতেও পারবেন না।
এই খবরটিও পড়ুন
১২ তারিখ বোর্ডের বিশেষ সাধারণ সভা। ওই সভায় সিএবি যদি কোনও ভাবে অংশও নেয়, তাও কোনও ভূমিকা থাকবে না। নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে। বাকি ৩৪ টি সংস্থা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন জানালেও, সিএবি কেন পারল না? বাংলার ক্রিকেটের লজ্জা। কলঙ্কিত অধ্যায়।