প্রশিক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে প্রতিভা! লোন নিয়ে অ্যাকাডেমি গড়লেন প্রাক্তন টেবিল টেনিস তারকা


অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: এক সময়ে বহু প্রতিভাবান টেবিল টেনিস খেলোড়ায় উঠে এসেছেন শিলিগুড়ি শহর থেকে। এই শহরে একের পর এক খেলোয়াড় জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। অলিম্পিকও খেলেছেন দুজন। কিন্তু এখন আর এই শহর থেকে খেলোয়াড় পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ সঠিক পরিকাঠামোর অভাব। তাই এবার নিজের উদ্যোগে টেবিল টেনিস অ্যাকাডেমি খুলতে চলেছে প্রাক্তন ভারতীয় খেলোয়াড় অর্জুন পুরষ্কার প্রাপ্ত মান্তু ঘোষ। নিজের পিএফ থেকে লোন নিয়ে বাড়িতেই ‘ট্যালেন্ট স্কাউট টেবিল টেনিস হাব’ নামে অ্যাকাডেমি চালু করতে চলেছেন তিনি। শনিবার বিকেলে এই অ্যাকাডেমির উদ্বোধন হবে।

মান্তু বরাবর স্টেডিয়ামে বোর্ড বসিয়ে অনুশীলন করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাম আমল থেকে ডান আমল কোনও প্রশাসন তাঁকে সহযোগিতা করেনি বলে দাবি। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরেও দক্ষিণবঙ্গে অ্যাকাডেমি চালু হলেও উত্তরবঙ্গে হয়নি। এদিকে শিলিগুড়িতে টেবিল টেনিসের মান পড়তেই থাকে। তবে খেলোয়াড়দের আগ্রহ রয়েছে দেখেই নিজে লোন নিয়ে বাড়িতেই অ্যাকাডেমি চালু করতে চলেছেন মান্তু ।

শহরের খেলোয়াড়েরা একসঙ্গে অনুশীলন না করায় বাইরে খেলতে গিয়ে ব্যর্থ হচ্ছেন। তাই শিলিগুড়িতে আগের মত আর ট্রফি, মেডেল আসছে না বলে দাবি। এই কারণেই, অত্যাধুনিক অ্যাকাডেমি খুলতে চলেছেন মান্তু। তাঁর অনুশীলন কেন্দ্রে জাতীয় দলের কোচ তথা মান্তুর স্বামী সুব্রত রায়, মান্তু-সহ আরও ৪ জন কোচ থাকবেন। মান্তু বলেন, “আমার স্বপ্ন ছিল অ্যাকাডেমি গড়ার। তা পূরণ হতে চলেছে। আমরা ৮টা বোর্ড বসিয়ে সকলকে একযোগে অনুশীলন করাব। যাতে বাইরে গিয়ে তাঁরা সফল হতে পারেন। আমরা বাচ্চাদেরও নিচ্ছি। যাদের গোড়া থেকে তৈরি করা যাবে। পাশাপাশি যাঁরা ভারতীয় র‍্যাঙ্কের খেলোয়াড় তাঁরাও এখানে অনুশীলন করতে পারবেন।”

জাতীয় দলের কোচ সুব্রত রায়ের কথায়, “আমরা চাই শহরে আগের মত পরিবেশ ফিরে আসুক। শিলিগুড়ি আবার টেবিল টেনিসের শহর বলে পরিচিতি পাক। তাই আমরা কষ্ট করে এই অ্যাকাডেমি খুলছি। তবে টেবিল টেনিসে উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেও দক্ষিণবঙ্গে সরকার অ্যাকাডেমি করলেও উত্তরবঙ্গে করেনি। তবে মেয়র গৌতম দেব কথা দিয়েছেন মার্চের মধ্যে তিনি ইন্ডোর স্টেডিয়াম তৈরি করে আমাদের হাতে তুলে দেবেন।”

প্রসঙ্গত, এই অ্যাকাডেমিতে সিন্থেটিক ফ্লোর, আমেরিকান টেবিল, রোবোট মেশিন-সহ প্রজেক্টর বসানো হবে। দুজন ফিজিও থাকবেন সবসময়। আপাতত ৬০ জন খেলোয়াড় নিয়ে এই অ্যাকাডেমি শুরু হচ্ছে। তবে মেয়েদের সংখ্যা আগের থেকে কমেছে বলে আক্ষেপ রয়েছে মান্তুর। তিনি চান ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও আরও বেশি খেলতে আসুক।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ




Leave a Reply