কমেন্টেটর কার্স! অতি প্রচলিত কথা। অনেক সময়ই দেখা যায়, ধারাভাষ্যকাররা যখন প্রশংসা করছেন, সেই ব্যাটার দ্রুত আউট! সিডনিতে প্রথম ডেলিভারিতেই জীবন পেয়েছিলেন বিরাট কোহলি। এরপরই যেন নতুন বিরাট কোহলিকে দেখা যায়। ধৈর্যশীল বিরাট কোহলি। যিনি প্রতিটা ডেলিভারিকে প্রথম মনে করে খেলছেন। সতর্ক। ডিফেন্সে দুর্দান্ত। তাঁকে নিয়ে টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস চলছে। এমন সময়ই সেই একই গল্প। সিডনির প্রথম ইনিংসে অবদান ‘লড়াকু’ ১৭ রান।
নতুন বছরে এ যেন নতুন বিরাট কোহলিকে দেখা যাচ্ছিল। নতুন স্টান্স। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলছিলেন। মনে হচ্ছিল, এই বুঝি বড় ইনিংসের ভিত তৈরি। ১০৮ মিনিট ক্রিজে কাটিয়েও নতুন স্টান্সের বিরাট কোহলির সেই পুরনো সমস্যা। আর তাতেই উইকেট খোয়ালেন। স্কট বোল্যান্ড তাঁর ধৈর্যকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন বারবার। ধৈর্য নয় বরং সংযম শব্দটা বেশি কার্যকরী। অফস্টাম্পের বাইরে লাইন কার্যত এক রাখলেও লেন্থ বদলে গেলেন বারবার। সাফল্য মিলল অবশেষে। ৬৯ বলে ১৭ রানে আউট বিরাট কোহলি।
টেস্ট ক্রিকেটের হিসেব করা কঠিন, তবে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির চলতি সিরিজে এই নিয়ে সপ্তমবার আউট হলেন বিরাট কোহলি। মজার বিষয়, সাতবারই খোঁচা দিয়ে উইকেটের পিছনে। স্কট বোল্যান্ড যেন এই সিরিজে বিরাট কোহলিকে ‘বানি’ বানিয়ে নিয়েছেন। বিরাটের বিরুদ্ধে ৬ ইনিংসে বোলিংয়ের সুযোগ হয়েছে ৩৩ বছরে টেস্ট অভিষেক করা বোল্যান্ডের। এর মধ্যে চারবারই বিরাটকে আউট করেছেন।
রোহিত শর্মা বাদ পড়েছেন। হয়তো অবসর ঘোষণাও সময়ের অপেক্ষা। বিরাট কোহলি আরও ২-৩ বছর খেলতে পারেন, এমন দাবি করেছিলেন দেশের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী। বিরাটও নতুন বছরে নতুন স্টান্সে নতুন আশা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু ১৭ রানের ইনিংস যথেষ্ট নয়। দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ হলে? টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো রোহিত-বিরাট একসঙ্গেই ঘোষণা করে দেবেন না তো!