ঋষভ পন্থের উইকেটের সঙ্গেই পরিস্থিতিটা পরিষ্কার ছিল। ভারত ২০০ পেরোতে পারলেও সেটা ভালো বলা যেত। যদিও সিডনি টেস্টের প্রথম দিন ভারতের ইনিংস শেষ মাত্র ১৮৫ রানেই। লোয়ার অর্ডারে ছোট্ট ছোট্ট পার্টনারশিপ না হলে স্কোর এই অবধিও পৌঁছতো না। এ দিন ১৫ মিনিট ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায় অস্ট্রেলিয়া। জসপ্রীত বুমরাকে যে স্যাম কন্টাস আক্রমণ করবেন, সেটাই ইঙ্গিত ছিল। ইনিংস শুরু করেন বাউন্ডারি মেরে। কিন্তু ১৫টা মিনিট কাটল চরম আতঙ্কে।
জসপ্রীত বুমরার বোলিংয়ে বাউন্ডারির পর সিঙ্গল নিয়ে ননস্ট্রাইকে যান স্যাম। পিচে অপ্রত্যাশিত বাউন্স। তাতেই হাতে জোরালো আঘাত উসমান খোয়াজার। আঙুলে লেগেছে। মাঠে চিকিৎসার কারণে বেশ কিছুটা সময়ও নষ্ট হয়। পরের ওভারে সিরাজের বোলিংয়ে অল্পের জন্য রান আউট থেকে বাঁচেন স্যাম। সিরাজের ওভারে থাইয়ে লাগে উসমান খোয়াজার। বুমরার দ্বিতীয় ওভারে পরপর আউটসাইড এজ থেকে বাঁচেন স্যাম কন্টাস। তৃতীয় ডেলিভারিতে সিঙ্গল নিয়ে স্ট্রাইক বদল। দিনের শেষ বলে বুমরার শিকার উসমান খোয়াজা। দুর্দান্ত ক্যাচ নেন লোকেশ রাহুল।
ঋষভ পন্থ ও রবীন্দ্র জাডেজা দুর্দান্ত একটা পার্টনারশিপ গড়েছিলেন। ঋষভ পন্থ আউট হন ৪০ রানে। সে সময় দলের স্কোর ১২০। লোয়ার অর্ডারে ছোট ছোট পার্টনারশিপ। জাডেজা-সুন্দর (১৪), সুন্দর-প্রসিধ (১৪), বুমরা-প্রসিধ (২৩) এবং বুমরা-সিরাজ জুটিতে ১৭ রান যোগ হয়। এই ম্যাচের ক্যাপ্টেন জসপ্রীত বুমরা তিনটি বাউন্ডারি এবং একটি ওভার বাউন্ডারিতে ১৭ বলে ২২ রান করেন।
এই খবরটিও পড়ুন
প্রথম দিনের শেষে আত্মবিশ্বাসী ভারতীয় শিবির। দিনের শেষ ডেলিভারিতে উইকেট আসায় আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে। ব্যাট হাতে নজর কেড়েছিলেন বুমরা। এই সিরিজে সেরা বোলার। মাত্র ২ ওভারের স্পেলেই অস্ট্রেলিয়াকে প্রবল চাপে রাখলেন বুমরা।