প্রথম ইনিংসে ভারত কত অবধি পৌঁছবে? কিছুক্ষণ আগে হলেও বলা যেত, বড় স্কোরের দিকে যাচ্ছে ভারত। কিন্তু মুহূর্তের ধাক্কায় বিপর্যয়। এখান থেকে ২০০ পার করলেই যেন অনেক। বাকি বোনাস রান। সিডনি টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং নেন জসপ্রীত বুমরা। ব্যাটিংয়ের জন্য যে কঠিন পরিস্থিতি, বোঝা যাচ্ছিল। তাতেও অবশ্য সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করেননি বুমরা। তাঁর সিদ্ধান্ত ঠিক-ভুল বলার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়নি। সিডনিতে এ বার প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বাউন্স। ডু অর ডাই ম্যাচে ব্যাটাররা ধৈর্যের পরীক্ষা দিলেন। সেটও হলেন। কিন্তু এমন শট খেলে আউট হলেন, যাবতীয় লড়াইটাকে পিছনে ফেলে দিল।
সিডনি টেস্টে নেই রোহিত শর্মা। টিমের অফিসিয়াল বার্তা, নিজেকেই বিশ্রাম দিয়েছেন ক্যাপ্টেন। আসলে বাদ। লোকেশ রাহুল ওপেনিংয়ে ফিরলেন। যদিও ভরসা দিতে ব্যর্থ। মেলবোর্নে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি মিস করা যশস্বীও ফিরলেন দ্রুতই। সবচেয়ে বেশি হতাশা শুভমন, বিরাট এবং অবশ্যই ঋষভ পন্থের উইকেট নিয়ে। তিন জনেই সেট হয়েছিলেন। শুভমন গিল আউট হন লাঞ্চ ব্রেকের ঠিক শেষ ডেলিভারিতে। উইকেট ছেড়ে মারতে গিয়ে ডিফেন্স, স্লিপে ক্যাচ।
বিরাট কোহলি দীর্ঘ সময় লড়াই করেন। ১০৮ মিনিট ক্রিজে কাটিয়ে ফিরেছেন সেই অফস্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়েই। একইরকম হতাশা ঋষভ পন্থকে নিয়েও। রবীন্দ্র জাডেজার সঙ্গে বড় একটা পার্টনারশিপ গড়েছিলেন। রানের নিরিখে হয়তো বিশাল নয়, তবে টিমের পরিস্থিতি এবং বলের নিরিখে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। ১৫১ বলে ৪৮ রান যোগ করে তারা। কিন্তু ফাঁদে পা দিলেন ১৪৯ মিনিট ক্রিজে কাটানো ঋষভ পন্থও।
এই খবরটিও পড়ুন
রাউন্ড দ্য উইকেট বোলিংয়ে আসেন স্কট বোল্যান্ড। শর্টপিচ ডেলিভারি। অফস্টাম্পের বেশ কিছুটা বাইরে। পন্থ হয়তো ভেবেছিলেন সহজাত অ্যাঙ্গেলে বল ভেতরে আসবে। পুল করেন। কিন্তু বল সামান্য বাইরে যাচ্ছিল। যার ফলে শট কানেক্ট করতে পারেননি। মিড অনে সহজ ক্যাচ। পরের বলেই আউট মেলবোর্নে সেঞ্চুরি করা নীতীশ কুমার রেড্ডিও। দ্রুতই ১২০-৪ থেকে ১২০-৬। হ্যাটট্রিক ডেলিভারিতে অল্পের জন্য রক্ষা পান ওয়াশিংটন সুন্দর।