চার বলেই কন্টাস-হেড! বুমরা খাতা খুলতেই সিরাজের দাপট


মঞ্চ প্রস্তুতই ছিল। তবে জসপ্রীত বুমরা যেন কিছুটা আক্ষেপ করতেই পারেন। তাঁর শিকার ছিনিয়ে নিলেন সিরাজ! তাতে অবশ্য লোকসান নেই। কিন্তু অজি টিমের নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি। প্রথম দিনের খেলা শেষে জসপ্রীত বুমরাকে স্লেজিং করে অস্বস্তি বাড়িয়ে রেখেছিলেন স্যাম কন্টাস। দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকে যে তাঁকে অনেক কিছুই সহ্য করতে হবে জানাই ছিল। ভারতীয় দলকে এতটা চার্জড আপ এই সিরিজে আগে ঠিক কোন ইনিংসে দেখা গিয়েছিল! মনে করা কঠিন। কিন্তু এ দিন যেন অন্য পরিস্থিতি।

স্লিপ, গালি, শর্ট লেগ। একঝাঁক ক্লোজ ইন ফিল্ডার। প্রত্যেকেই কিছু না কিছু বলে যাচ্ছেন। মার্নাস লাবুশেন স্লেজিংয়ে সিদ্ধহস্ত। তাঁকেও অস্বস্তিতে দেখায়। স্যাম কন্টাস মাঝে মাঝে দু-একটা এলোপাথারি শট খেলে বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন, সব ঠিক রয়েছে। দিনের শুরুতেই অবশ্য মার্নাস লাবুশেনকে ফেরান জসপ্রীত বুমরা। এই সিরিজে সব মিলিয়ে তাঁর ৩২ নম্বর উইকেট। কিন্তু স্যামের উইকেট তাঁর ঝুলিতে এল না।

এই খবরটিও পড়ুন

চলতি সিরিজে বুমরা দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। প্রশ্ন উঠছিল বাকি পেসারদের নিয়ে। বিশেষ করে তুলনামূলক সিনিয়ক মহম্মর সিরাজকে নিয়ে। মেলবোর্নের দ্বিতীয় ইনিংসে বিধ্বংসী বোলিং করেছিলেন। সিডনিতে সম্মানের ম্যাচে আরও ভয়ঙ্কর। স্যাম কন্টাসকে সেট করেছিলেন বুমরা-সিরাজ মিলে। উইকেট এল সিরাজের ঝুলিতে। ড্রাইভ করতে গিয়ে গালিতে ধরা পড়েন কন্টাস। ৩৮ বলে ২৩ রানেই শেষ তাঁর ইনিংস।

ভারতীয় শিবিরে এই সিরিজে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ট্রাভিস হেড। বক্সিং ডে-তে রান পাননি। এই ম্যাচে কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে নামেন। সিরাজকে অন ড্রাইভে বাউন্ডারি মেরে কাউন্টার অ্যাটাকের বার্তা দেন। যদিও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। সিরাজের অনবদ্য ডেলিভারিতে স্লিপে লোকেশ রাহুলের দুর্দান্ত ক্যাচ। মাত্র ৪ বলের মধ্যেই কন্টাস ও সিরাজের উইকেট নিয়ে অজি শিবিরে বিরাট ধাক্কা সিরাজের। প্রথম ঘণ্টাতেই ভারতের ঝুলিতে তিন উইকেট।



Leave a Reply