বিরাট কোহলি কি শেষ টেস্ট খেলে ফেলেছেন? আপাতত বলা কঠিন। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দৌড় থেকে বিদায় হয়ে গিয়েছে ভারতের। নতুন সংস্করণ শুরু হবে ইংল্যান্ডের মাটিতে। এখন থেকে পাঁচ-ছয় মাস পর পরিস্থিতি কী হবে বলা মুশকিল। সামনে ভারতের সাদা বলের সিরিজ। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ান ডে সিরিজ রয়েছে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে বিশ্বকাপের পরই বিদায় নিয়েছেন। ওয়ান ডে-তে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও বিশ্বজয়ী প্রাক্তন অলরাউন্ডার মনে করছেন, জাতীয় দলে থাকারই যোগ্য নন বিরাট কোহলি। তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন।
টেস্টে বিরাট কোহলির গত দেড় দু-বছরের পারফরম্যান্স প্রচণ্ড হতাশার। অস্ট্রেলিয়া সফরে পারথ টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন। প্রথম ম্যাচেই সেঞ্চুরি পাওয়ায় মনে করা হয়েছিল, ফর্মে ফিরছেন কোহলি। কিন্তু হতাশ করেছেন বাকি ম্যাচগুলিতে। আট ইনিংসে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পিছনে আউট হয়েছে এই সিরিজে। সেট হয়েও একই ভাবে আউটে বিরাট নিজেও অস্বস্তিতে পড়েছিলেন। বিরাট কোহলির মতো একজন ক্রিকেটার একই ভুল বারবার করছেন, যা মেনে নিতে পারছেন না ইরফান পাঠান।
বিরাট কোহলি শেষ কবে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছেন, গুগলও হয়তো ভুলে গিয়েছে। শেষ বার ২০১২ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে দিল্লির হয়ে নেমেছিলেন বিরাচ। নেটে যে ম্যাচের মতো প্রস্তুতি হয় না, এ আর নতুন করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। কোহলির একই ভুলের বারবার পুনরাবৃত্তিতে যারপরনাই ক্ষুব্ধ ইরফান। ভারতীয় টিমে সুপার স্টার সংস্কৃতি বন্ধ হওয়া উচিত বলেই মনে করেন তিনি। পাশাপাশি কোহলিকে নিয়ে বিরাট মন্তব্য।
এই খবরটিও পড়ুন
ইরফান পাঠান স্টার স্পোর্টসে বলেন, ‘সুপার স্টার সংস্কৃতি বন্ধ হওয়া উচিত। নিজেকে উন্নত করতে হবে, তাতেই টিমের উন্নতি হবে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে প্রস্তুতি ম্যাচ ছিল। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলারও সুযোগ ছিল। বিরাট কোহলি শেষ কবে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছে? এক দশকেরও বেশি সময় হয়ে গিয়েছে। গত বছরের কথা যদি ধরা যায়, ম্যাচের প্রধান হল প্রথম ইনিংস। সেখানে বিরাটের গড় ১৫। গত পাঁচ বছরে ওর গড় ৩০ ও নয়। ওর মতো সিনিয়র প্লেয়ারের কি টিমে সুযোগ পাওয়া উচিত?’
বিরাট নিজে ভুল শোধরানোর ক্ষেত্রে সিরিয়াস নয় বলেই মনে করেন। ইরফান আরও বলছেন, ‘এই ব্যক্তিপুজো থামা জরুরি। বিরাট কোহলি দেশের জার্সিতে অনেক অবদান রেখেছে। দুর্দান্ত সব পারফরম্যান্স দিয়েছে। কিন্তু একই ভুল যখন বারবার হয় তখন ভাবতে হবে। তার মানে ও ভুল শোধরানোর চেষ্টা করছে না। সুনীল গাভাসকরের মতো ক্রিকেটারকেও তো সামনে পেয়েছে। একটু কথা বলতে কতক্ষণ লাগে? কিংবা অন্য কোনও সিনিয়রের সঙ্গেও তো কথা বলতে পারে। টেকনিক্যাল সমস্যাটা মিটিয়ে নিতেই পারত।’