পিছিয়ে থাকলেই ভালো খেলে ইস্টবেঙ্গল! ঘরের মাঠে পর্যুদস্ত হয়ে যুক্তি ‘আশাহত’ অস্কারের


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে লড়াকু ফুটবলেও হার মানতে হয়েছে। দুগোলে পিছিয়ে থেকে যখন প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন দেখছে ইস্টবেঙ্গল, তখন হিজাজির একটা ভুলেই মশাল নিভল যুবভারতীতে। পরের ম্যাচই ডার্বি। তার আগে রক্ষণ নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় লাল-হলুদ ভক্তরা। কিন্তু কেন এই দুর্দশা? রোগ ধরে ফেলেছেন অস্কার ব্রুজো। কিন্তু ওষুধ কি পাবেন?

যুবভারতীতে প্রথমার্ধেই দুগোলে পিছিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধে মুম্বইয়ের সাহিল পানওয়ারের আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান কমে। তারপর সমতা ফেরান ডেভিড। কিন্তু হিজাজির শিশুসুলভ ভুলে এক পয়েন্টও জুটল না। ইস্টবেঙ্গল কোচ কিছুটা দায়ী করলেন ‘আত্মতুষ্টি’কে। ম্যাচের পর তিনি বলেন, “সমতা ফেরানোর পরও ম্যাচকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন ছিল, আমরা সেটা পারিনি। এর জন্য আত্মতুষ্টিও কিছুটা দায়ী। খেলায় নিয়ন্ত্রণ না রেখে দ্রুত আক্রমণে উঠলে সমস্যা তো হবেই। ডিসেম্বরে আমরা একটা ভালো জায়গার দিকে যাচ্ছিলাম। কিন্তু এই দুই সপ্তাহে আমরা আবার আগের জায়গাতেই ফিরে গিয়েছি। এটা আমি আশা করিনি।”

এর পর টানা কঠিন ম্যাচ। ১১ জানুয়ারি মোহনবাগানের সঙ্গে ম্যাচ। তারপর অপেক্ষা করে থাকবে গোয়া, কেরালা ব্লাস্টার্স ও মুম্বই সিটি। সুপার সিক্সের দরজা এমনিতেই বন্ধ হওয়ার মুখে। তার উপর দলের যা অবস্থা, তাতে রীতিমতো চিন্তায় অস্কার। কোথায় পিছিয়ে পড়ছে ইস্টবেঙ্গল? তাঁর যুক্তি, “আমরা আসলে মাথার থেকেও হৃদয় দিয়ে বেশি খেলছি। যখন আমরা পিছিয়ে থাকি বা ড্র করি, তখন আমরা বেশি ভালো খেলি। কিন্তু যখন এগিয়ে থাকি, তখন ততটা ভালো খেলতে পারি না। এই ধরনের কঠিন লিগে এভাবে পয়েন্ট টেবিলের ওপর দিকে থাকা যায় না। আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে।”

ডিসেম্বরে আইএসএলের সেরা উদীয়মান ফুটবলার হয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের পিভি বিষ্ণু। তাছাড়া বাকি ফুটবলারদের ফর্ম ও চোট-আঘাতের সমস্যা বড় আকার নিয়েছে। মাদিহ তালাল ছিটকে গিয়েছেন, সল ক্রেসপোর সুস্থ হতে এখনও এক মাস। পুরোপুরি ফিট নন সৌভিক চক্রবর্তী। যে কারণে ডিফেন্ডার আনোয়ারকে মাঝমাঠে খেলতে হচ্ছে। যা নিয়ে অস্কারের আক্ষেপ, “আমাদের দলে এই মুহূর্তে যথেষ্ট খেলোয়াড় নেই, যাদের নিয়ে আমরা একটা ঠিকঠাক এগারোজনের দল গড়তে পারি। এক জায়গার খেলোয়াড়কে অন্য জায়গায় খেলাতে হচ্ছে। বিশেষ করে মাঝমাঠে। লিগের এই পর্যায়ে এসে যা মোটেই বাঞ্ছনীয় নয়। তবে আশা করি, সবাই ফিরে এলে আমরাও ছন্দে ফিরে আসব।”

কিন্তু সেটা কবে? মরশুম তো অর্ধেকের বেশি শেষ। ছন্দে ফিরে আসতে তো অনেকটাই দেরি হয়ে যাবে ইস্টবেঙ্গলের।

Leave a Reply