সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহম্মদ শামির চোট নিয়ে এত গোপনীয়তা কেন? বিসিসিআইকে তোপ দেগে এই কথা বললেন রবি শাস্ত্রী। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে ভারতের বেহাল দশা দেখে প্রাক্তন কোচের মত, তিনি থাকলে অবশ্যই শামিকে অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে যেতেন। সেখানে রিহ্যাব করাতেন বঙ্গ পেসারকে। শাস্ত্রীর সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন রিকি পন্টিংও।
২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে শেষবার ভারতের জার্সিতে খেলেছেন শামি। তারপর চোট সারিয়ে ফিরেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। কিন্তু জাতীয় দলের দরজা খোলেনি। বরং হাঁটু ফুলে যাওয়ার কারণে শামিকে এনসিএতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রিহ্যাব করতে। গোটা বিষয়টি নিয়ে বিসিসিআইয়ের তরফে কখনই স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। কেবল চতুর্থ টেস্টের আগে জানানো হয়, বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে খেলতে পারবেন না শামি।
পুরো ঘটনাক্রমেই ক্ষিপ্ত শাস্ত্রী। সিরিজ শেষ হওয়ার পরে তিনি বলেন, “আমি থাকলে অবশ্যই শামিকে অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে যেতাম। টিমের সঙ্গে ওকে রিহ্যাব করাতাম। সেরা ফিজিওদের পরামর্শ নিয়ে রিহ্যাব করানো হত, প্রয়োজন পড়লে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্যও নেওয়া হত। যদি তৃতীয় টেস্ট পর্যন্ত দেখতাম যে শামি বল করতে পারছে না তাহলে দেশে ফিরিয়ে দিতাম ওকে।” বিশ্বজয়ী তারকার প্রশ্ন, শামির যে ঠিক কী সমস্যা সেই নিয়ে বিসিসিআই এত রাখঢাক করছে কেন?
শাস্ত্রীর সঙ্গে একমত বিশ্বজয়ী অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিংও। তাঁর কথায়, “শামি যদি পুরোপুরি ফিট না হয় তাহলেও দিনে কয়েক ওভার বল করে দিত। ব্যাক আপ হিসাবে তো নীতীশ রেড্ডি ছিলই। শামির করা ওই কয়েকটা ওভারই সিরিজে তফাত গড়ে দিতে পারত। সিরিজের শেষদিকে জশপ্রীত বুমরাহ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। শামি থাকলে বুমরাহকেও সাহায্য করতে পারত।” পন্টিংয়ের মতে, শামি-বুমরাহ-সিরাজ থাকলে ভারত একেবারে অন্যভাবে ধরা দিত বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে। শামির অভিজ্ঞতা থেকেই উপকৃত হত টিম ইন্ডিয়া।