যুবরাজ সিংয়ের কেরিয়ার অনেকের কাছেই প্রেরণা। ভারতের জোড়া বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক যুবরাজ সিং। তেমনই ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি ফাইনালেও তাঁর ইনিংস ভুললে চলবে না। ভারতীয় ক্রিকেটে যুবরাজ সিংয়ের মতো অলরাউন্ডার আর পাওয়া যায়নি। ওয়ান ডে ক্রিকেটে যুবরাজের অবসরের পর থেকে ব্যাটিং অর্ডারে চার নম্বরে কেউই জায়গা পাকা করতে পারেননি। যে কোনও কঠিন পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা, বল হাতেও অনবদ্য, আর ফিল্ডিং! তরুণ প্রজন্মের কাছে আইকন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যুবরাজ সিংয়ের কেরিয়ার দীর্ঘ হতে পারত বলে অনেকেই মনে করেন। বিশ্বজয়ী ক্রিকেটারের দাবি, বিরাট কোহলির জন্যই যুবরাজের কেরিয়ার আগেই শেষ হয়েছে।
যুবরাজ সিং ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই জিতেছেন। অনেক আগেই টিমে ফিরতে পারতেন যুবরাজ সিং। প্রত্যাবর্তন দেরি হওয়ায় অনেকটা সময় খেলা থেকে বঞ্চিত থাকেন যুবি, এমনটাই মনে করেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য রবিন উথাপ্পা। তার জন্য বিরাট কোহলিকেও দায়ী করছেন। ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১১-তে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। ভারতের সাফল্যের অন্যতম কারণ ছিল যুবরাজ সিংয়ের পারফরম্যান্স। কিন্তু তাঁকে বিরাট কোহলি পরবর্তীতে পর্যান্ত সম্মান, সুযোগ দেননি বলেই মনে করেন উথাপ্পা।
ইউটিউব লাল্লানটপ অনুষ্ঠানে রবিন উথাপ্পা বলেন, ‘আমার কথা বাদই দিন, যুবরাজ সিংয়ের প্রসঙ্গে বলছি। একটা মানুষ ক্যান্সারকে হারিয়েছে। জাতীয় দলে ফেরার মরিয়া চেষ্টা করছিল। এমন একজন, যে দুটো বিশ্বকাপ জেতাতে সাহায্য করেছে দেশকে। কিন্তু সে সময় যিনি অধিনায়ক হয়েছিলেন, সেও তো লড়াইটা দেখেছে। ক্যাপ্টেন হিসেবে অনেক কিছু ভাবতে হয় মেনে নিচ্ছি। তবে যুবরাজ সিংয়ের মতো একজন ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে অন্তত ব্যতিক্রমী ভাবাই যেত।’
এই খবরটিও পড়ুন
ইংল্যান্ডের মাটিতে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যুবরাজের পারফরম্যান্স প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। এরপরই দল থেকে বাদ পড়েন। আর সুযোগ না পেয়ে ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান। উথাপ্পা বলেন, ‘যুবি অনুরোধ করেছিল, ফিটনেসের দিক থেকে তাঁকে ২ পয়েন্ট ছাড় দেওয়ার জন্য। কিন্তু টিমে জায়গা না পেয়ে আবারও টেস্ট দেন। সেটাতে পাশও করেছিলেন। টিমে জায়গা পান, একটা টুর্নামেন্ট খারাপ যাওয়াতেই বাদ পড়েন।’ সে সময় ক্যাপ্টেন ছিলেন বিরাট কোহলিই। তাঁর নেতৃত্ব প্রসঙ্গে উথাপ্পা বলেন, ‘ওর নেতৃত্বে খেলেছি। এ ক্ষেত্রে বলা যায়, হয় ওর মতো খেলতে হবে, নয়তো সুযোগ নেই। তবে সব ক্ষেত্রে বোধ হয় এক নিয়ম না থাকাই ভালো। কোন প্লেয়ারের সঙ্গে কীরকম আচরণ করব, সেটা ভেবে দেখা প্রয়োজন।’