খারাপ রেফারিং থেকে আইএসএল ডার্বির দ্রুততম গোল! কোন পাঁচ কারণে ডার্বি জিতল মোহনবাগান


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরের প্রথম ডার্বি। গঙ্গা তীরের লড়াই হল ব্রহ্মপুত্রের তীরে। তবে বছর এবং স্থান বদলালেও ডার্বির ফলাফল বদলাল না। আরও একবার মোহনবাগানের কাছে পরাজিত ইস্টবেঙ্গল। ম্যাকলারেনের গোলে ১-০ গোলে জিতল মোহনবাগান। কিন্তু সবুজ-মেরুনের এই জয়ের নেপথ্য কারণ কী কী?

শুরুতেই গোল পেয়ে যাওয়া: মাত্র ১ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড। আইএসএল ডার্বির ইতিহাসে দ্রুততম গোলটি করে গেলেন মোহনবাগানের জেমি ম্যাকলারেন। জেমির সেই গোল মোহনবাগানের জন্য ভিত তৈরি করে দিয়েছিল। অন্যদিকে একেবারে শুরুতে গোল হজম করে খানিকটা যেন নিরুৎসাহী হয়ে গেলেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। সেভাবে চেষ্টাই দেখা গেল না ক্লেটনদের মধ্যে।

ধারহীন ইস্টবেঙ্গল: ১ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর মোহনবাগান যে ইস্টবেঙ্গলকে সুযোগ দেয়নি তেমনটা নয়। কিন্তু দিয়ামান্তাকোস, ক্লেটনরা সেইসব সুযোগ কাজে লাগালেন না। গোটা ম্যাচে পরিষ্কার গোলের সুযোগই সেভাবে তৈরি করতে পারল না লাল-হলুদ শিবির। এক গোলে পিছিয়ে পড়ার পর গোল শোধ করার জন্য যে আন্তরিক চেষ্টা, সেটা দেখা গেল না অস্কার ব্রুজোর ছেলেদের মধ্যে। অন্তত প্রথমার্ধে চেষ্টার অভাব পরিষ্কার চোখে পড়ল। 

ব্যক্তিগত ভুল: শৌভিক চক্রবর্তী। অভিজ্ঞ ফুটবলার। ডার্বির আবেগ বোঝেন। কিন্তু ম্যাচের শুরু থেকে যেভাবে রেফারির সঙ্গে একের পর এক ঝামেলায় জড়ালেন তিনি, সেটা প্রত্যাশিত ছিল না। সেটা না হলে হয়তো প্রথম হলুদ কার্ডটি হজম করতে হত না তাঁকে। শৌভিক এদিন লাল-কার্ড না দেখলে হয়তো ম্যাচের শেষদিকে কামব্যাক করলেও করতে পারত ইস্টবেঙ্গল। আবার মোহনবাগানের গোলটি যেভাবে ম্যাকলারেন করে গেলেন তাতে হিজাজি মাহেরের পজিশন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে হয়। একই সঙ্গে প্রশংসা করতে হয় জেমির।

মোহনবাগানের টিমগেম: শনিবাসরীয় ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য ছিল না। তবে মোহনবাগানের টিমগেম এবং জেতার অভ্যাস তাদের আবারও জিতিয়ে দিল। যেভাবে মাঝমাঠের ভুল শুধরে দিচ্ছিলেন ডিফেন্ডাররা, রক্ষণের ভুল শুধরে দিচ্ছিলেন গোলরক্ষক বিশাল এবং বাকিরা, তাতে নিঃসন্দেহে এই মোহনবাগানকে হারানো কঠিন।

খারাপ রেফারিং: ম্যাচের ৩৫ মিনিট। এক গোলে পিছিয়ে থাকা ইস্টবেঙ্গল কামব্যাকের মরিয়া চেষ্টায়। ঠিক সেসময় বক্সের ভিতরে আপুইয়ার নিশ্চিত হ্যান্ডবলে পেনাল্টি দিলেন না রেফারি ভেঙ্কটেশ্বর। ওই পেনাল্টি ইস্টবেঙ্গল পেলে নিশ্চিতভাবে বদলে যেতে পারত খেলার ফল। শুধু ওই পেনাল্টি নয়, ম্যাচের একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এমনকী শৌভিকের প্রথম হলুদ কার্ডও প্রশ্নাতীত নয়। যদিও দ্বিতীয় হলুদ কার্ডটি নিয়ে কোনও সংশয় ছিল না।

Leave a Reply