‘হেরে অজুহাত খুঁজছেন’, রেফারিং বিতর্কে অস্কারকে সটান জবাব মোলিনার


দুলাল দে: ডার্বি হেরে সোজা রেফারির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে গিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো। কোনও রাখঢাক না করেই বলেন, ‘‘আপুইয়ার হাত দিয়ে বল আটকানোটা নিশ্চিত পেনাল্টি। মোহনবাগান সুবিধে পেয়েই যাচ্ছে।’’ তবে শুধুই আপুইয়ার হাত দিয়ে বল আটকানোয় পেনাল্টির দাবিতেই থেমে থাকেননি ইস্টবেঙ্গল কোচ। বললেন, ‘‘সৌভিক কিছুতেই আজ দুটো হলুদ কার্ড দেখে না। রেফারি লাল কার্ড দেখিয়ে ঠিক করেননি।’’ রেফারির ইট ছুঁড়েছিলেন ব্রুজো। পাটকেলটা এল মোহনবাগান কোচ মোলিনার তরফ থেকে। তিনি ঘুরিয়ে বলে দিলেন, এভাবে অজুহাত খুঁজতে থাকলে ভালো ফলের আশা না করাই ভালো।

অস্কার ব্রুজোর সাংবাদিক সম্মেলন শেষ হওয়া মাত্রই সাংবাদিক সম্মেলনে ঢুকে পড়েন মোহনবাগান কোচ মোলিনা। স্বাভাবিকভাবেই সাংবাদিক সম্মেলনে এসে হাসিখুশি মুখেই কথা শুরু করেন। অন্য সময় হলে হয়তো এড়িয়ে যেতেন। কিন্তু এদিন ম্যাচের পর ঠিক করলেন- তিনি জবাব দেবেন। তাই অস্কার ব্রুজোর রেফারির সিদ্ধান্তে পক্ষপাতিত্ব খুঁজে পাওয়ার প্রসঙ্গে মোলিনা বললেন, “হেরে গেলে সবাই এরকম অজুহাত দেয়। নতুন কিছু না।’’

মোলিনাকে বলা হল, কিছুক্ষণ আগে অস্কার ব্রুজো অভিযোগ করে গিয়েছেন, রেফারির সুবিধা পেয়েছে মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গল কোচের অভিযোগ শুনে প্রথমে হাসলেন। তারপর কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললেন, ‘‘উনি ভালো কোচ। ইস্টবেঙ্গল ভালো দল। ওঁর মতামত, আমার মতের সঙ্গে না-ও মিলতে পারে। উনি যদি এটাই মনে করেন, ঠিক আছে। আমি খেলার ফলে খুশি।’’ এটুকু বলে চুপ করে গেলেন মোলিনা। তখন মনে হল প্রসঙ্গটা এড়িয়ে যেতে চাইলেন। তারপর নিজেই বললেন, ‘‘আমি যখন স্পেনে স্পোর্টস ডিরেক্টর ছিলাম, বোর্ডে দুটো অপশন লেখা হত। খেলার ফলাফল চাও না ম্যাচে হেরে অজুহাত দিতে চাও? আমার তো মনে হয়, হেরে গিয়ে অজুহাত তৈরি করার থেকে ম্যাচটা জেতা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ইস্টবেঙ্গল কোচ ম্যাচ হেরে অজুহাত দিচ্ছেন। আপুইয়ার যে পেনাল্টির কথা বলা হচ্ছে, ওই সময় কাছাকাছি জায়গায় আমি ছিলাম। অথচ আমি কিছুই দেখতে পাইনি। উনি (অস্কার) আমার থেকে অনেকটা দূরে ছিলেন। কাছে থেকে আমি দেখতে পেলাম না। দূরে থেকে কীভাবে উনি দেখে ফেললেন, সেটা জানি না। রবিবার কলকাতা ফিরে সোমবার থেকে ফের প্র্যাকটিস শুরু করব। আমি এখন পরের ম্যাচ নিয়েই শুধু ভাবব।’’

ম্যাচ শেষে টিম হোটেলে ফিরে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা ধরেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারকে। বললেন, ‘‘অভিযোগ করে করে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি। রেফারিরা নিয়ম করে রোজ আমাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন। অভিযোগ করতে করতে আমরা ক্লান্ত।”

Leave a Reply