চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করে দিয়েছে প্রায় সব দেশ। ভারতীয় বোর্ড কিছুটা সময় চেয়ে নিয়েছে আইসিসির কাছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরবর্তী সংস্করণ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও স্কোয়াড ঘোষণা করে দিয়েছে। সাকিব আল হাসানের বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাঁকে শুধু ব্যাটার হিসেবে স্কোয়াডে রাখার প্রয়োজন মনে করেনি বিসিবি। অভিজ্ঞ ব্যাটার তামিম ইকবালকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার অনুরোধ করা হয়েছিল। যদিও তিনি দ্বিতীয়বার অবসর ঘোষণা করে দিয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে রাজি হননি। অনেকেই মনে করেন, এরকম পরিস্থিতিতে আর এক অভিজ্ঞ কিপার-ব্যাটার লিটন দাসকে স্কোয়াডে রাখাই যেত। ওয়েস্ট ইন্ডিজে তাঁর নেতৃত্বেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে এসেছে বাংলাদেশ। যদিও ওয়ান ডে স্কোয়াডে সুযোগ পাননি।
বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন রবিবার সকালে। বিকেলেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে বিধ্বংসী সেঞ্চুরি করেন লিটন দাস। ঢাকা ক্যাপিটালসের হয়ে মাত্র ৫৫ বলে ১২৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে সুযোগ না পেয়ে কী বলছেন বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ কিপার-ব্যাটার?
বিপিএলে দুর্দান্ত ইনিংসের পর লিটন দাস বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়া বা না পাওয়া আমার নিয়ন্ত্রণে ছিল না। নির্বাচকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমার কাজ পারফর্ম করে যাওয়া। আমি সেটা করতে পারিনি। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশও ছিলাম। এই সেঞ্চুরির পরও একই অনুভূতি হচ্ছে। খেলা শেষ, দিন পেরিয়ে গিয়েছে, আমাকে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।’
এই খবরটিও পড়ুন
টি-টোয়েন্টিতে বিধ্বংসী ইনিংস খেললেও দেশের জার্সিতে ওয়ান ডে ক্রিকেটে পারফর্ম করতে পারছিলেন না লিটন দাস। ওয়ান ডে আন্তর্জাতিকে শেষ সাতটি ইনিংসের মধ্যে ৬টিতেই এক অঙ্কের রানে আউট হয়েছেন লিটন। শেষ বার ওডিআইতে হাফসেঞ্চুরি প্লাস ইনিংস এসেছিল ২০২৩ সালের অক্টোবরে। লিটন আরও বলছেন, ‘সমর্থকরা পাশে রয়েছে, ভালো খেললে থাকবে। কিন্তু পারফর্ম করতে না পারলে নেতিবাচক ভাবনাও আসবে। আমি শুধুমাত্র পারফরম্যান্সেই জোর দিতে চাই। আর কিছু নিয়ে ভাবছি না।’