কলকাতা: যব তক বল্লা চল রহা হ্যায়, তব তক ঠাট হ্যায়… ভারতীয় ক্রিকেটে খুব জনপ্রিয় একটা কথা। দিন ভালো মানে সব ভালো। বহুদিন আগে যুবরাজ সিংয়ের মতো ক্রিকেটার বুঝে গিয়েছিলেন। পারফরম্যান্স থাকলে সব বায়না মেনে নেবে লোকে। পারফরম্যান্স না থাকলে? যুবি বুঝেছেন নিজের কেরিয়ার দিয়ে। গৌতম গম্ভীরও এ বার বুঝতে পারছেন। আইপিএল আর ভারতীয় ক্রিকেট টিম যে এক নয়, তা বুঝতেও কষ্ট হচ্ছে না দিল্লির ছেলের। আইপিএলে যা ইচ্ছে করা যায়। কিন্তু দেশের হয়ে পারফর্ম করতে না পারলেই কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। তাই হচ্ছে কোচ গম্ভীরকে। তাঁকে নিয়ে শুধু যে প্রশ্ন উঠেছে তাই নয়, এ বার ডানা ছাঁটারও প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল।
ঘটনা হল, কেকেআরকে চ্যাম্পিয়ন করে ভারতীয় টিমে ঢুকে পড়েছিলেন গম্ভীর। কিন্তু কোচের এই যাত্রা সুখের হয়নি এখনও পর্যন্ত। শ্রীলঙ্কার মাটিতে ওয়ান ডে সিরিজ হার, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হার, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৫ টেস্টের সিরিজ হার। কোচ যত বড়ই হোন না কেন, তাঁর এবং কোচিং টিমের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। তাই হচ্ছে। ১১ জানুয়ারি ছিল বোর্ডের রিভিউ মিটিং। অস্ট্রেলিয়া সফরে হারের ময়নাতদন্তে উঠে এসেছে অনেক কিছুই। ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স থেকে কোচকেও রাখা হয়েছে আতসকাচের তলায়। গম্ভীরের সঙ্গে ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার ঝামেলার কথা শোনা গিয়েছিল। তা নিয়ে বোর্ড নীরব হলেও বেশ কিছু বিষয় বাইরে এসেছে ওই মিটিংয়ের। তাতে কিন্তু গম্ভীর ভয়ঙ্কর চাপে, বলে দেওয়াই যায়।
গম্ভীরের কোচিং এবিলিটি নিয়ে প্রশ্ন ওঠার থেকেও বেশি কথা চলছে সাপোর্ট স্টাফদের নিয়ে। বিশেষ করে অভিষেক নায়ার ও রায়ান ডুসখাটে। এঁদের কারও জাতীয় টিমে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা নেই। তার থেকেও বড় কথা হল, টেস্ট ক্রিকেট খেলেননি। ৫ দিনের ক্রিকেটে কেমন চ্যালেঞ্জ সামলাতে হয়, তা জানেন না। ব্যাটারদের ফর্মজনিত সমস্যা হলে তা মেটানোর কোনও উদ্যোগই নিতে পারেননি তাঁরা। বিরাট কোহলি পুরো সফর ধরে অফস্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে গিয়েছেন। ব্যাটিং কোচ অভিষেক নায়ার দর্শক হয়ে ছিলেন। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন সুনীল গাভাসকর পর্যন্ত। একমাত্র প্রশ্নের উর্ধ্বে মর্নি মর্কেল। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন পেসার নিজের সময় যথেষ্ট ভালো পেসার ছিলেন। সাফল্যের সঙ্গেই খেলেছেন। বাকি দু’জন?
এই খবরটিও পড়ুন
যা পরিস্থিতি অভিষেক এবং রায়ানের চাকরি বাঁচানো বেশ মুশকিল। অস্ট্রেলিয়া সফরে খারাপ ফলের পর গম্ভীরের কোনও যুক্তিই কার্যত শুনতে চাইছে না বোর্ড। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মাস তিনেক পর আবার ইংল্যান্ড সফর। ওই সফরে গম্ভীরের জন্য অভিজ্ঞ কোচিং স্টাফই খুঁজে বের করতে চাইছে বোর্ড।