বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত, ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার কথা লুকিয়েছিলেন তারকা!


Shafali Verma: বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত, ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার কথা লুকিয়েছিলেন তারকা!

কলকাতা: বাবা হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। উদ্বিগ্ন মেয়ে দু’দিন প্রার্থনা করেই কাটিয়েছেন। তার মধ্যে তাঁরও জীবনে ঘটে গিয়েছে বড়সড় দুর্ঘটনা। কিন্তু বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে সেই খবর বেমালুম চেপে গিয়েছিলেন মেয়ে। বাবার জন্য মেয়েরা এমনই করে থাকেন। সে ভারতীয় দলের নামী তারকা হলেও তাতে ব্যতিক্রম হবে কেন! হয়ওনি। অবশ্য এমন খবর বেশি দিন চেপেও রাখা যায় না। সপ্তাহখানেক পর বাবা একটু সুস্থ হতে মেয়ে নিজেই বলেছিলেন, ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ে গিয়েছেন তিনি! এমন আশ্চর্য ঘটনা তুলে ধরলেন শেফালি ভার্মা।

বাবা সঞ্জীব ভার্মার হাতেই ক্রিকেটের হাতেখড়ি। কোচ বদল হলেও মেন্টর বদলায়নি শেফালিই। বাবাই বরাবর মেয়ের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছেন। তাই বাবার হার্ট অ্যাটাকের খবর গভীর ভাবে দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল শেফালিকে। দু’দিন পরেই টিম নির্বাচন হয়। কিন্তু খারাপ ফর্মের জন্য দল থেকে বাদ পড়ে যান। তখন খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বাবার জন্য নিজের ভারতীয় টিম থেকে বাদ পড়ার খবর জানাতে পারেননি। এমনকি পরিবারের বাকি সদস্যের কাছেও গোপন করে যান। শেফালি নিজেই বলেছেন, ‘ওই সময়ের মধ্যে দিয়ে যাওয়াটা সহজ ছিল না। দল থেকে বাদ পড়ার খবর পাওয়ার দু’দিন আগে বাবার হার্ট অ্যাটাক হয়। আমি বাবার কাছ থেকে খবরটা লুকিয়ে রেখেছিলাম, যতক্ষণ না ভালো হয়ে ওঠে। আমি ওই সারাটা সময় হাসপাতালে ছিলাম। এক সপ্তাহ পর বাবা একটু সুস্থ হতে আমি সত্যিটা জানিয়েছি।’

ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর হরিয়ানার মেয়ে কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে মেলে ধরেছেন। বিপুল রান করেছেন। বাংলার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে টুর্মামেন্টে ১৯৭ রানের অবিশ্বাস্য রানও করেছিলেন। ৩টে সেঞ্চুরি ও ৫টা হাফসেঞ্চুরি বেরিয়ে এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। বাবা সঞ্জীব কতটা গুরুত্বপূর্ণ শেফালির জীবনেও তাও তুলে ধরেছেন তিনি। শেফালির কথায়, ‘বাবারা সব জানেন। অনেক সময় আমরা নিজেদের শক্তি ভুলে যাই। কিন্তু বাবারা ভোলে না। ছেলেবেলা থেকে বাবা আমাকে ওয়ার্কআউট করতে উৎসাহ জুগিয়ে গিয়েছেন। অন ড্রাইভ, স্ট্রেট ড্রাইভ, যা আমার শক্তি, সেটা বাবার হাত ধরেই এসেছে।’

Leave a Reply