সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় দলের বিশৃঙ্খল রুখতে ১০ দফা ফতোয়া জারি করল বিসিসিআই। বৃহস্পতিবার স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রত্যেক ক্রিকেটারকে নিয়মিত ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে হবে। এছাড়াও বিদেশ সফরে পরিবার নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কতগুলি ব্যাগ নিয়ে যাওয়া যাবে, তারও সংখ্যা বেঁধে দিয়েছে বোর্ড। যদি এই নির্দেশিকা লঙ্ঘন হয়, তাহলে আইপিএল থেকে নিষিদ্ধ করা বা জরিমানার মতো কঠোর পদক্ষেপ করবে বিসিসিআই।
ঠিক কী কী বলা হয়েছে বোর্ডের নির্দেশিকায়? প্রথমেই বলা হয়েছে, চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের নিয়মিত ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে হবে। কারণ ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেই ভবিষ্যতের তারকারা উঠে আসেন। তাই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেললে অভিজ্ঞতা বাড়বে তরুণদের। যদি কোনও কারণে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ান, তাহলে সেটা আগে থেকে জানিয়ে রাখতে হবে বোর্ডকে। ঘরোয়া ক্রিকেটের উপরেও নির্ভর করবে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া।
দলের সঙ্গেই চলাফেরা করতে হবে সকল ক্রিকেটারদের। ম্যাচ হোক বা প্র্যাকটিস-আলাদা করে বা পরিবারের সঙ্গে যেতে পারবেন না ক্রিকেটাররা। একমাসের বেশি বিদেশ সফরে গেলে সর্বোচ্চ তিনটি সুটকেস এবং দুটি কিট ব্যাগ নিয়ে যেতে পারবেন। দেশের মাটিতে সিরিজ হলে সর্বোচ্চ দুটি সুটকেস নেওয়া যাবে। কোনও ক্রিকেটার বা সাপোর্ট স্টাফের ব্যক্তিগত সচিব, নিরাপত্তারক্ষীরা দলের সঙ্গে থাকতে পারবেন না। ইচ্ছামতো প্র্যাকটিস ছেড়ে বেরিয়ে আসা যাবে না। সিরিজ চলাকালীন ব্যক্তিগত ফটোশুট বা বিজ্ঞাপন করতে পারবেন না ক্রিকেটাররা।
ক্রিকেটাররা যদি ৪৫ দিনের বেশি ভারতের বাইরে থাকেন তাহলে মাত্র একবার তাঁর স্ত্রী এবং ১৮ বছরের কম বয়সি সন্তান যেতে পারে বিদেশ সফরে। সর্বাধিক ১৪ দিনের জন্য থাকতে পারেন তাঁরা। কেবল এই সময়টুকুর জন্য পরিবারের থাকার ব্যবস্থা করবে বোর্ড। বাকি খরচ বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারকে। বিসিসিআইয়ের অফিসিয়াল ফটোশুট এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানে ক্রিকেটারদের হাজিরা বাধ্যতামূলক। যদি কোনও ম্যাচ তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়, তাহলেও ক্রিকেটারদের নির্দিষ্ট সময়ে একসঙ্গেই ফিরতে হবে।
বোর্ডের এই ১০ দফা নির্দেশিকার কোনওটা যদি লঙ্ঘন হয়, তাহলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে। আইপিএল-সহ বোর্ডের সমস্ত টুর্নামেন্ট থেকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হবে ওই ক্রিকেটারকে। তাছাড়াও বোর্ডের চুক্তির অর্থ বা ম্যাচ ফি কেটে নেওয়া হবে। বিসিসিআইয়ের তরফে বার্তা, শৃঙ্খলা এবং পেশাদারিত্ব বজায় রাখার জন্যই এমন নির্দেশিকা।