মিটল বেতন সমস্যা! ফুটবলারদের বিদ্রোহের পিছনে ষড়যন্ত্র দেখছেন মহামেডান কর্তারা


স্টাফ রিপোর্টার: ঠিকসময়ে বেতন পাওয়া যায়নি বলে চেন্নাইয়িন এফসি ম্যাচের আগের দিন ঘণ্টাখানেক প্র্যাকটিস বয়কট করেছিলেন মহামেডান ফুটবলাররা। পরে মৌখিক প্রতিশ্রুতি পেয়ে ফুটবলাররা মাঠে নামতেই ক্লাব সভাপতি আমিরউদ্দিন ববি জানিয়েছিলেন, ইনভেস্টর এবং ফুটবলারদের নিয়ে একসঙ্গে আলোচনায় বসবেন ক্লাব কর্তারা। সেই মতো বৃহস্পতিবার ক্লাব তাঁবুতে ইনভেস্টর কর্তা এবং ফুটবলারদের সঙ্গে কর্তাদের মিটিংয়ের সময় ঠিক হয়। সময় মতো শ্রাচীর তরফে রাহুল টোডি-সহ অন্য কর্তারা আসেন। কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ এবং সহকারী কোচ মেহরাজউদ্দিনও ক্লাবে আসেন। কিন্তু যে ফুটবলাররা অভিযোগ এনেছিলেন, তাঁরাই এদিন আলোচনায় অনুপস্থিত। ক্লাব সভাপতি আমিরউদ্দিন ববি বললেন, “আমি তো ক্লাবে এসে অবাক হয়ে গেলাম। খোঁজ নিয়ে জানলাম, কোচ সব ফুটবলারকে ছুটি দিয়ে দিয়েছেন। আমি আলোচনায় বসতে চাই বলার পরেও কেন ফুটবলারদের ছুটি দেওয়া হল, তা কোচের কাছে জানতে চেয়েছি।”

শ্রাচী কর্তাদের সঙ্গে ক্লাব কর্তাদের আলোচনার পর যে বিষয়টি উঠে আসে তা হল, ফুটবলারদের সঙ্গে বাঙ্কারহিল জুলাই থেকে চুক্তি করলেও ফুটবলাররা কলকাতায় এসে প্র্যাকটিস শুরু করেন ১৬ আগস্ট থেকে। ফলে ইনভেস্টর শ্রাচী জানিয়েছে, তাঁদের সঙ্গে ক্লাবের চুক্তির পর যখন থেকে ফুটবলাররা প্র্যাকটিসে নেমেছেন, তখন থেকেই ফুটবলারদের বেতন দেওয়া হচ্ছে। সেই হিসাবে শুধু ডিসেম্বর মাসের বেতন বাকি। সবে জানুয়ারি পড়েছে। ঠিক সময়েই তা দিয়ে দেওয়া হবে। তাছাড়া কোনও ফুটবলারের চুক্তিপত্রেই লেখা নেই যে মাসিক বেতন দেওয়া হবে। ফুটবল মরশুমের চুক্তি হয়েছে। তার মধ্যেই চুক্তিমতো পুরো টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। এদিন মহামেডান তাঁবুতে মিটিং শেষে ক্লাবের তরফে কামারউদ্দিন বলছিলেন, “কোনও ফুটবলারের বেতন বাকি নেই। এরপরে যে ফুটবলার খেলতে রাজি হবে না, সে তার টাকা পয়সা বুঝে নিয়ে ক্লাব ছেড়ে অন্য ক্লাবে চলে যেতে পারে। ফুটবলারদের এই অন্যায় আচরণ কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না।”

অন্যদিকে আমিরউদ্দিন ববি বলেন, “ইনভেস্টরের তরফে প্রায় ১৬ কোটির মতো টাকা খরচ করে ফেলা হয়েছে। ফলে ইনভেস্টর টাকা দিচ্ছে না, এটা সঠিক তথ্য নয়।” আলোচনা শেষে যে নির্যাস উঠে আসছে, তাতে অনেকে মনে করছেন, হঠাৎ করে ফুটবলারদের এই বিদ্রোহের পিছনে ক্লাবেরই কারও ষড়যন্ত্রের হাত রয়েছে। কেন, কার পরামর্শে কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই চেন্নাইয়িন ম্যাচের আগে ফুটবলাররা প্র্যাকটিস বয়কট করতে চেয়েছিলেন, সেটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফলে ছুটি কাটিয়ে মহামেডান ফুটবলাররা যেদিন প্র্যাকটিসে যোগ দেবেন, সেদিনই মহামেডান কর্তারা তাঁদের সঙ্গে এই ইস্যুতে আলোচনায় বসবেন।

Leave a Reply