‘অস্ট্রেলিয়াতেই চেয়েছিলাম…’, খোলসা করলেন অজিত আগরকর


প্রত্যাশিত ভাবেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে ফিরলেন মহম্মদ সামি। ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের পরই ছিটকে গিয়েছিলেন। আইসিসি টুর্নামেন্টে মহম্মদ সামি কতটা বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারেন, পরিসংখ্যানই প্রমাণ। ঘরের মাঠে ওয়ান ডে বিশ্বকাপে শুরু থেকে খেলানো হয়নি তাঁকে। পঞ্চম ম্যাচ থেকে সুযোগ পেয়েছিলেন। এরপর শুধুই সামির দাপট। সাত ম্যাচেই বিধ্বংসী পারফরম্যান্স। এর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে সাত উইকেটও রয়েছে। যদিও বিশ্বকাপের পরই ছিটকে যান মহম্মদ সামি। অস্ত্রোপচারও হয়। ইংল্যান্ড সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে।

টিম সিলেকশন মিটিং নিয়ে যেন রহস্য রোমাঞ্চ উপন্যাস লেখা যায়। টিম যে আগেই বেছে নেওয়া হয়েছিল, অনুমান এমনটাই। তা হলে এত্তটা সময় লাগল কেন ঘোষণা করতে? দু-একজন প্লেয়ারের ফিটনেস নিয়ে যে দীর্ঘ আলোচনার প্রয়োজন ছিল এমনটাই বলা যায়। এই দু-জন বলা যায় মহম্মদ সামি এবং জসপ্রীত বুমরা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে রয়েছেন দু-জনই। তবে নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকরের একটা মন্তব্য যেন চোখে পড়ার মতোই। সামির ফিটনেস নিয়ে নাকি কোনও প্রশ্নই ছিল না!

ঘরের মাঠে নিউজিল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন হতে পারত মহম্মদ সামির। তিনি ততদিনে বোলি- ব্যাটিংও শুরু করে দিয়েছিলেন। রিহ্যাব পর্বে নতুন করে চোট লাগায় ফের শুরু থেকে শুরু করতে হয়। অবশেষে রঞ্জি ট্রফি দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াড ঘোষণার পর নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর বলেন, ‘সাদা-বলের ক্রিকেটে ওর ফিটনেস নিয়ে কোনও সমস্যাই ছিল না। আমরা ওকে অস্ট্রেলিয়া সিরিজেই নিতে চেয়েছিলাম। তবে ও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছে।’

এই খবরটিও পড়ুন

অজিত আগরকর আরও যোগ করেন, ‘ওর দক্ষতা নিয়ে কোনও ভাবেই প্রশ্ন তোলার জায়গা নেই। ওয়ান ডে ফরম্যাটের জন্য় যাতে পুরোপুরি রেডি হতে পারে, সে কারণেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে রাখা হয়েছে।’ ২২ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ভারত-ইংল্য়ান্ড পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ঘরের মাঠেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে সামির।

Leave a Reply