মহম্মদ সিরাজ কি দেওয়াল লিখন আগে থেকেই পড়তে শুরু করেছিলেন? হতেই পারে। বক্সিং ডে- টেস্টের পারফরম্যান্স যেন তারই বহিঃপ্রকাশ ছিল। ক্রমশ বুঝতে পারছিলেন, নতুন বল হারাতে চলেছেন তিনি। এমনটা দেখাও গিয়েছে। বুমরার সঙ্গে বোলিং ওপেন করেছিলেন আকাশ দীপও। সিডনি টেস্টে ফের নতুন বল পান। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে সিরাজের জায়গা না পাওয়ার পর থেকে যেন এই প্রশ্নটাই আসছে। নতুন বলে পারফর্ম করতে না পারাটাই কি কাল হল মহম্মদ সিরাজের জন্য?
গত কয়েকটি সিরিজ থেকেই মহম্মদ সিরাজকে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাঁর বোলিং পারফরম্যান্স যে খারাপ, উইকেটের নিরিখে তা বলা যায় না। তবে জসপ্রীত বুমরা যে নতুন বলে একজন দক্ষ সঙ্গীর অভাব অনুভব করেছেন, তা বারবার ধরা পড়েছে। নতুন বল নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ মহম্মদ সিরাজ। যার ফলে প্রতিপক্ষকে শুরুতেই চাপে ফেলা যাচ্ছে না। জসপ্রীত বুমরা একদিক থেকে ভয়ঙ্কর হলেও উল্টোদিক থেকে রাশ আলগা হয়েছে। সামি ফিট হওয়ায় সিরাজের জায়গা চাপে ছিল। তার মধ্যে অর্শদীপের মতো তরুণ পেসার সাদা-বলের ক্রিকেটে যে ভাবে পারফর্ম করছিলেন, তাঁকে না নেওয়াটা অন্যায় হত।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াড বাছাইয়ের পর মহম্মদ সিরাজকে নিয়ে অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, ‘অভিজ্ঞ প্লেয়ারদের মধ্যে একমাত্র সিরাজই নেই। বুমরাকে নিয়ে আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত নই। সে কারণেই এমন একজনকে চাইছিলাম যে নতুন বলের পাশাপাশি স্লগ ওভারেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। বুমরা যদি একান্তই না থাকে, সে কারণেই আমরা অর্শদীপকে চাইছিলাম। শুরুর এবং শেষের ওভারে সিরাজের মধ্যে কিছু খামতি রয়েছে। ওর কাছে বাদ পড়াটা নিঃসন্দেহে দুর্ভাগ্যজনক, আমরা চেয়েছিলাম এমন একজনকে যে পারফর্ম করতে পারবে। টিমে যারা রয়েছে, আমাদের বিশ্বাস নতুন বল, মিডল ওভার এবং স্লগের জন্যও যথেষ্ট বিকল্প রয়েছে।’