সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০৩০-এ ফুটবল বিশ্বকাপের শতবর্ষ। মেগা টুর্নামেন্টের আসর বসবে দুটি মহাদেশ মিলিয়ে। ইউরোপে যেমন আয়োজক স্পেন, মরক্কো, পর্তুগাল। তেমন দক্ষিণ আমেরিকায় আয়োজনে উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে, আর্জেন্টিনা। ইতিমধ্যে তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। আর তার প্রাথমিক ধাপে নৃশংস কাণ্ড মরক্কোতে। পাঁচ বছর পর বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য পথকুকুর নিধন যজ্ঞে মেতেছে মরক্কো। ২০৩০-র মধ্যে প্রায় ৩০ লক্ষ কুকুর নিকেশ করার পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। যা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ পশুপ্রেমীদের।
একটি আন্তর্জাতিক পশুপ্রেমী সংগঠন মরক্কোর ‘ঘৃণ্য পরিকল্পনা’ ফাঁস করেছে। শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই কয়েক লক্ষ কুকুরকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আর সেটা সরকারের দ্বারাই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কখনও স্ট্রিকনিনের মতো বিষ ব্যবহার করে, কখনও বা নির্বিচারে গুলি করে কুকুর নিধন যজ্ঞ চলছে মরক্কোয়। আবার ‘ক্ল্যাম্পিং’ করে কুকুরদের ধরা হচ্ছে। পরে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাদের মেরে ফেলা হচ্ছে। এর আগেও একই অভিযোগে বিদ্ধ করা হয়েছিল উত্তর আফ্রিকার দেশকে। তখন তারা অভিযোগ অস্বীকার করেছিল। তাতেও অবশ্য এই মারণযজ্ঞ থামেনি।
এই নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রাণী অধিকার নিয়ে লড়াই করা আইনজীবী জেন গুডঅল। গোটা বিষয়টি তিনি ফিফার নজরে আনার চেষ্টা করছেন। যদিও তাঁর প্রশ্ন, ফিফা কি এই কুকুর নিধন যজ্ঞ সম্বন্ধে কিছুই জানে না? জেনে থাকলে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি কেন? সেক্ষেত্রে এই নৃশংস ঘটনা উপেক্ষা করার ‘অপরাধে’ ফিফাও সমানভাবে অভিযুক্ত। ফিফাকে তিনি দ্রুত হস্তক্ষেপ করার আবেদন করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি সাধারণ ফুটবল ভক্তদের কাছেও আবেদন জানিয়েছেন, এই বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হতে।
বিশ্বকাপ এখনও পাঁচ বছর দূরে। এখনও জানা যায়নি, মরক্কোর কোন কোন শহরে বসবে বিশ্বকাপের আসর। তার জন্য পরিকাঠামো নির্মাণ প্রয়োজন, শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে সাজিয়ে তোলা দরকার। কিন্তু তার বদলে পথকুকুরদের হত্যা শুরু করেছে মরক্কো। ফলে বিতর্ক ক্রমশ বাড়ছে। উল্লেখ্য, এর আগে কাতার বিশ্বকাপের সময় নারী স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের অভাব নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল। আর মরক্কোয় পাঁচ বছর আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে নৃশংস কর্মকাণ্ড।