সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একগুচ্ছ গোল মিস ও ডিফেন্সে সেই চেনা ফাঁকফোকর। আরব সাগরের তীরে হারের লজ্জাই সঙ্গী হল ইস্টবেঙ্গলের। টানা তিন ম্যাচ হারল অস্কার ব্রুজোর দল। ১৬ ম্যাচে পয়েন্ট মাত্র ১৪। লিগ টেবিলে পড়ে রয়েছে ১১তম স্থানেই। এখান থেকে যে প্লে অফ কার্যত অসম্ভব, তা মেনে নিচ্ছেন ইস্টবেঙ্গলের কোচও।
ম্যাচের ১৩ মিনিটে গোল করে যান গোয়ার ব্রাইসন ফার্নান্দেজ। শেষ পর্যন্ত ওটাই পার্থক্য গড়ে দিল। যদিও দিয়ামান্তোকোসরা অজস্র গোলের সুযোগ হাতছাড়া করলেন। ফলে প্লে অফে ওঠার অঙ্ক জটিল থেকে ক্রমশ জটিলতর হয়ে উঠল ইস্টবেঙ্গলের জন্য। ম্যাচের পর অস্কার বলেন, “প্লে অফে ওঠা কঠিন। এখান থেকে টানা তিনটে ম্যাচ জেতার স্বপ্ন একটু বেশিই বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। আমাদের আরও কার্যকরী ফুটবল খেলতে হবে।”
অস্কারকে আশ্চর্য করেছে গোল খাওয়ার ধরন। হিজাজির ভুলে গোল করে যান ব্রাইসন। তাছাড়া গোল মিসের বন্যা তো রয়েছেই। সব নিয়ে অস্কারের বক্তব্য, “প্রতিপক্ষের সব থেকে কম উচ্চতার ফুটবলার আমাদের ডিফেন্ডার ও গোলকিপারের ফাঁক দিয়ে গোল করে গেল। এটা একেবারেই ঠিক নয়। আমরা ২৮টা ক্রস তুলেও গোল পায়নি। ১৫টা সুযোগ তৈরি করেছি। কিন্তু স্ট্রাইকাররা গোল করতে পারেনি। গোটা বিষয়টাই হতাশাজনক।”
এমনিতেও এই ম্যাচে গোটা রক্ষণভাগ নতুন করে সাজাতে হয়েছে অস্কারকে। চোট-আঘাত ও কার্ড সমস্যায় জেরবার ইস্টবেঙ্গল। এই পরিস্থিতি কি সম্ভব কামব্যাক করা? এখনও ভালো খেলার আশায় অস্কার। তিনি বলেন, “চোট সারিয়ে সবাই ফিরলে আমরা আরও ভালো খেলব। আমরা এখন এমন একটা অবস্থায় রয়েছি, যেখান থেকে প্রতি ম্যাচে জিততে হবে। আমার বিশ্বাস, পুরো দল পেলে মরশুমটা ভালোভাবে শেষ করতে পারব। তাছাড়া মার্চে এএফসি-র ম্যাচ রয়েছে। সেটাও মাথায় রাখতে হবে।”
ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরাও সম্ভবত সেই আশাতেই রয়েছেন। সেরা ছয়ের আশা যে শেষ তা একপ্রকার স্বীকারই করে নিলেন কোচ। কিন্তু স্ট্রাইকারদের দৈন্যদশা কি এএফসি-তে ঘুচবে? অনেক প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজতে হবে অস্কারকে।