শিলাজিৎ সরকার: নতুন বছরের মাত্র ২০ দিন। তার মধ্যেই চার-চারটি ডার্বি জয় হয়ে গেল মোহনবাগানের। বড়দের হোক বা ছোটদের, ছবিটা বদলাচ্ছে না। এবার অনূর্ধ্ব-১৫ ইয়ুথ ডার্বিতে মোহনবাগানের কাছে ৩-০ গোলে পরাস্ত হল ইস্টবেঙ্গল। সবুজ-মেরুনের হয়ে গোল করলেন রূপম মণ্ডল, তনয় বৈরাগী ও সঞ্জু শিকদার। সেই সঙ্গে আঞ্চলিক পর্যায়ে চ্যাম্পিয়নও হল মোহনবাগান। অন্যদিকে অনূর্ধ্ব-১৭ এলিট লিগের ডার্বি গোলশূন্য ড্র হল।
এই নিয়ে চলতি বছরেই চারটি ডার্বি জয় হয়ে গেল মোহনবাগানের। ১১ জানুয়ারি রিলায়্যান্স ফাউন্ডেশন ইউথ স্পোর্টসের অনূর্ধ্ব-১৫ টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে জিতেছিল মোহনবাগান। সেখানে রাজদীপ পালের জোড়া গোলের সুবাদে ২-১ গোলে জিতেছিল তারা। সেদিনই সন্ধ্যায় গুয়াহাটিতে আইএসএলের ডার্বি জিতেছিল ম্যাকলারেনরা। তারপর ১৫ জানুয়ারি অনূর্ধ্ব-১৭ ইয়ুথ লিগে আদিত্য মণ্ডলের গোলে ১-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
দমদমে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের অনূর্ধ্ব-১৫ ইয়ুথ লিগের ম্যাচের ছবিটাও ছিল একতরফা। সেখানে ৩-০ গোলে লাল-হলুদের মশাল নেভাল সবুজ-মেরুনের ছোটরা। রূপম মণ্ডল, তনয় বৈরাগী ও সঞ্জু শিকদারের গোলে আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নও হল মোহনবাগান। তাও সেটা একম্যাচ হাতে রেখে। এখনও বেঙ্গল ফুটবল অ্যাকাডেমির সঙ্গে ম্যাচ বাকি। তারপর শুরু হবে জাতীয় স্তরের লড়াই।
এদিন অবশ্য এলিট অনূর্ধ্ব-১৭ এলিট লিগের ডার্বি গোলশূন্য ড্র হল। কিন্তু ডার্বিতে সব পর্যায়েই দাপট বজায় রাখছে মোহনবাগান। বিশেষ করে আইএসএলের বড় ম্যাচের ছবিটা বহুদিন ধরেই একতরফা। গুয়াহাটিতে মোহনবাগানের হয়ে গোল করেছিলেন ম্যাকলারেন। আইএসএলে ১০টি ডার্বির মধ্যে ৯টিই মোহনবাগানের পকেটে।