‘ব্যাডমিন্টন শিখিয়ে সংসার চলে না’, কোচিংকে বিদায় জানালেন গোপীচাঁদকন্যার ‘গুরু’


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের সেরা ব্যাডমিন্টন কোচদের মধ্যে অন্যতম তিনি। স্বয়ং পুল্লেলা গোপীচাঁদের কন্যাকেও কোচিং করান। কিন্তু সেই অরুণ বিষ্ণু সরে দাঁড়ালেন ব্যাডমিন্টন কোচিং থেকে। তাঁর কথায়, ব্যাডমিন্টন কোচ হিসাবে যা উপার্জন করেন তাতে সংসার চালানো অসম্ভব। তাই বাধ্য হয়েই সরে দাঁড়াতে হয়েছে। ফলে প্রশ্ন উঠছে, ব্যাডমিন্টনের মতো জনপ্রিয় খেলার কোচদের এমন আর্থিক দুর্দশা কেন?

দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন অরুণ। ডাবলস কোচ হিসাবে একেবারে শুরু থেকে গড়ে তুলেছেন তৃষা জোলি এবং গায়ত্রী গোপীচাঁদকে। দ্রোণাচার্যজয়ী কোচ গোপীচাঁদের কন্যা গায়ত্রী এখন আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টনের অন্যতম তারকা। তৃষার সঙ্গে জুটি বেঁধে বিশ্বের সেরা ১০ ডাবলস জুটির মধ্যেও ঢুকে পড়েছেন। কিন্তু ভারতীয় জুটির এমন সাফল্যের মধ্যেই কোচিং থেকে সরে দাঁড়ালেন তৃষা-গায়ত্রীকে তৈরি করা অরুণ।

বিদায়বেলায় আক্ষেপের সুরে অরুণ বলেন, “ওরা দুজন যদি আর কয়েকদিন আগে প্রথম দশে ঢুকত। তবে ছোট থেকে ওদের দুজনকে সাহায্য করতে পেরেছি ভেবেই ভালো লাগছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে কোচিং করানোটা খুব মিস করব। কিন্তু পরিবারের খেয়ালটাও তো রাখতে হবে। আগস্ট মাস থেকে বিষয়টা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছি। ভারতের ব্যাডমিন্টন কোচরা তো অত উপার্জন করেন না।” আপাতত নিজের অ্যাকাডেমি গড়তে চলেছেন অরুণ। নাগপুরে তৈরি হবে এই ব্যাডমিন্টন অ্যাকাডেমি। ১৭ বছর পর্যন্ত ব্যাডমিন্টন শেখানো হবে অরুণের অ্যাকাডেমিতে।

প্রশ্ন উঠছে, যে খেলা থেকে দেশে অলিম্পিক পদক এসেছে, সেই খেলার কোচকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হল কেন? সূত্রের খবর, বিদেশে ব্যাডমিন্টন কোচেরা ৮ থেকে ১০ হাজার ডলার উপার্জন করেন। ভারতীয় মুদ্রায় এই অঙ্কটা প্রায় ৭ লক্ষ থেকে ৯ লক্ষ টাকা। কিন্তু ভারতীয় কোচেরা নাকি তার এক চতুর্থাংশও পান না। অরুণের মতে, ভারতীয় ব্যাডমিন্টন কোচদের যদি ধরে রাখতে হয় তাহলে আর্থিকভাবে তাঁদের উন্নতি করতেই হবে।

Leave a Reply