স্কাইবলের ফাঁদে! অর্শদীপের সামনে তেতো স্বাদ কেকেআরের সদ্য প্রাক্তনী ফিল সল্টের


ভারতীয় দলের কাছে এটাই সবচেয়ে বড় আতঙ্কের ছিল। উল্টোদিকে রয়েছেন ফিল সল্ট। ২০২৩ সালের আইপিএলে দিল্লি ক্য়াপিটালসে ছিলেন এই কিপার ব্যাটার। পর্যাপ্ত সুযোগও পাননি আবার সীমিত সুযোগ কাজেও লাগাতে পারেননি। তাঁকে আর রাখেনি দিল্লি ক্য়াপিটালস। গত মরসুমে ব্যক্তিগত কারণে হঠাৎই সরে দাঁড়ান কেকেআরের ওপেনার জেসন রয়। পরিবর্ত হিসেবে দিল্লিতে ‘বাতিল’ ফিল সল্টকেই দলে নেয় গম্ভীরের কলকাতা নাইট রাইডার্স। দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন। ইডেন গার্ডেন্স হয়ে উঠেছিল তাঁর ঘরের মাঠ। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁকে নিয়ে চিন্তা ছিল ভারতীয় শিবিরে। ইনিংসের তৃতীয় বলেই সেই আতঙ্ক দূর করে দেন অর্শদীপ সিং।

ইডেন গার্ডেন্সে হাইস্কোরিং ম্যাচের প্রত্য়াশা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্য়াটাররা বাড়তি সুবিধা পাবেন। শিশিরের প্রভাব থাকবে। কিন্তু বোর্ডে বিশাল বড় টার্গেট থাকলে সেটা চাপের। ফিল সল্ট ক্রিজে থাকলে যে ইংল্যান্ড বিশাল স্কোর গড়তে পারে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। তাঁকে দ্রুত ফেরানোই টার্গেট ছিল ভারতের। ইংল্যান্ড যেখানে পেসার আধিক্য বোলিং কম্বিনেশন সাজিয়েছে, ভারত স্পেশালিস্ট পেসার রেখেছেন অর্শদীপকেই। সঙ্গে দুই মিডিয়াম পেসার হার্দিক পান্ডিয়া ও নীতীশ কুমার রেড্ডি।

ইংল্যান্ড ইনিংস শুরু হতেই অর্শদীপের ধামাকা শুরু। প্রথম ডেলিভারিটি ডান হাতি ফিল সল্টের জন্য ভেতরে এনেছিলেন। এরপর গুড লেন্থ বল। সামলে দেন ফিল সল্ট। তৃতীয় ডেলিভারি ডান হাতি ব্যাটারের জন্য আউট সুইং। একজন বাঁ হাতি পেসারের অ্যাওয়ে সুইং সামলানো কঠিন। তার উপর ইডেনের বাউন্স খুবই ভালো। ইন না আউট সুইং সেটাই বুঝে উঠতে পারেননি ফিল সল্ট। কোমরের উচ্চতার ডেলিভারি কোনওরকমে ব্য়াট লাগান। যদিও সেটি উপরে। উইকেটের পিছনে সঞ্জু স্যামসন বলের নীচে কোনও ভুল করেননি।

Leave a Reply