ইন্ডিয়ান সুপার লিগে প্রত্যাবর্তন ইস্টবেঙ্গলের। মরসুমের শুরুর দিকে টানা হারে বিপর্যস্ত ছিল। কিন্তু অস্কার ব্রুজো দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগেও ভালো পারফর্ম করেছে। আইএসএলে ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করছিল। যদিও দলে একঝাঁক চোট ইস্টবেঙ্গলকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়। টানা তিন ম্যাচ হেরে প্রবল চাপে ছিল লাল-হলুদ শিবির। অবশেষে জয়ে ফিরল। ঘরের মাঠে কেরালা ব্লাস্টার্সকে ২-১ ব্য়বধানে হারাল ইস্টবেঙ্গল।
আইএসএলে বেশ কিছু ম্যাচেই জঘন্য রেফারিংয়ের শিকার হয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এই নিয়ে কর্তারা বারবার গর্জে উঠেছেন। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে হোম ম্যাচে সমর্থকরাও রেফারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে টিফো লাগান। টানা তিন ম্যাচ হারের পর চোট আঘাতকেও আর অজুহাত করার জায়গা ছিল না অস্কার ব্রুজোর কাছে। ভরসা রেখেছিলেন, হাতে থাকা ফুটবলারদের উপরই। সেই ভরসার মর্যাদা রাখলেন ফুটবলাররা।
ম্যাচের প্রথমার্ধেই ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন তরুণ ফুটবলার বিষ্ণু। ক্লেটনের লং পাস ধরে প্রতিপক্ষ গোলকিপারকে কাটিয়ে গোলে বল ঠেলেন বিষ্ণু। ডিফেন্ডার গোললাইন সেভের চেষ্টা করলেও সফল হননি। দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গলের লিড বাড়ান ডিফেন্ডার হিজাজি মাহের। নাওরেম মহেশের কর্নারে হেডে গোল হিজাজির।
ক্লেটন, ডায়ামান্টাকোস, মহেশরা এক ঝাঁক সুযোগ পেলেও কাজে লাগানো যায়নি। নয়তো ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। উল্টে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে কেরালা ব্লাস্টার্স গোল করে সাময়িক চাপে পড়েছিল ইস্টবেঙ্গল। শেষ অবধি ৩ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ায় বড় স্বস্তি। ম্যাচের সেরা বিষ্ণু।