চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়ামের পিচ বরাবরই স্পিনারদের সহযোগিতা করে থাকে। সমুদ্রতীরের শহর। শিশিরের প্রভাবও নেই। এখানে কালে-ভদ্রে পিচের চরিত্র অন্য দেখা যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই স্পিন সহায়ক পিচ। তবে সব সময় যে লো-স্কোরিং ম্যাচ হয় তাও নয়। ভারত-ইংল্যান্ড পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ চলছে। ইডেন গার্ডেন্সে সিরিজ শুরু হয়েছে ভারতের দাপুটে জয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে কাল চেন্নাইতে মুখোমুখি ভারত-ইংল্যান্ড।
ইডেন গার্ডেন্সে ব্যাটিং সহায়ক পিচ ছিল। যদিও হাইস্কোরিং ম্যাচ হয়নি। টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সূর্যকুমার যাদব। একমাত্র স্পেশালিস্ট পেসার হিসেবে খেলানো হয় অর্শদীপ সিংকে। মিডিয়াম পেসার অলরাউন্ডার হিসেবে হার্দিক পান্ডিয়া ও নীতীশ কুমার রেড্ডি। প্রথম ম্যাচে কার্যত প্রয়োজনই হয়নি নীতীশকে। পাওয়ার প্লে-তেই তিন ওভারের স্পেল করেন অর্শদীপ। হার্দিক নতুন বলে বল করায় বাড়তি স্পিনার খেলা সম্ভব হয়েছে, সেটাই জানান ক্যাপ্টেন স্কাইও।
প্রথম ম্যাচে অর্শদীপ ও হার্দিক দুটি করে উইকেট নিয়েছিলেন। তিন উইকেট নেন বরুণ চক্রবর্তী। বাঁ হাতি স্পিনার অক্ষর প্যাটেলের ঝুলিতে ২ উইকেট। তিনি ভাইস ক্যাপ্টেনও। চেন্নাই বরুণ চক্রবর্তীর ঘরের মাঠ। তেমনই ওয়াশিংটন সুন্দরেরও। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে চার স্পিনার খেলিয়ে চমক দিতেই পারে ভারত। কম্বিনেশন ভাঙার সম্ভাবনা যদিও ক্ষীণ। তবে মিডিয়াম পেসার অলরাউন্ডার নীতীশ কুমার রেড্ডির পরিবর্তে স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার ওয়াশিংটনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এই খবরটিও পড়ুন
এ ছাড়াও কিন্তু প্রয়োজনে ভারতের কাছে স্পিন অপশন থাকছে। অভিষেক শর্মা, তিলক ভার্মা বোলিং পারেন। প্রয়োজনে রিঙ্কু সিংকেও ট্রাই করা হতে পারে। ইংল্যান্ড প্রথম ম্যাচে পেসারদের দিয়ে বোলিং আক্রমণ সাজিয়ে চমকে দিয়েছিল। স্পেশালিস্ট স্পিনার হিসেবে ছিলেন আদিল রশিদ। তবে লিয়াম লিভিংস্টোনের মতো পার্টটাইম বিকল্প ছিল। চিপকে তরুণ লেগ স্পিনার রেহান আহমেদকে ইংল্যান্ড একাদশে দেখা যেতে পারে।
ভারত বনাম ইংল্যান্ড, সন্ধে ৭টা, স্টার স্পোর্টস, ডিজনি প্লাস হটস্টারে সম্প্রচার